তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ নামে একটি রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনিই জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দল তিনটি হলো এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। রবিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলামের এ ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে এই জোটের ঘোষণা আসে।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, সিটের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন দলের অনেককেই নানা জোটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেসব অফার আসছে, আমরা সাদরে তা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। ঘোষিত ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ শুধুমাত্র নির্বাচনী জোট নয় বরং এটি একটি রাজনৈতিক জোট। এই জোট জাতীয় মর্যাদা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির প্রশ্নকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই জোট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং অর্থনৈতিক মুক্তির যাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করবে। এক সঙ্গে একই মার্কায় জোটবদ্ধ নির্বাচন করব।
তিনি বলেন, তারুণ্যের উত্থান ঘটেছে। জনগণ আমাদের সঙ্গেই থাকবে। পুরনো দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রক্রিয়ায় থেকে আমরা ভুল করেছিলাম। আমরা এখন থেকে নতুনদের সঙ্গে থাকব। আমাদের সঙ্গে নতুন আরও দল ক্রমান্বয়ে যুক্ত হবে।
আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সকলেই চায় একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আসুক। বিরোধী দলের সভায় বাধা, ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা এগুলো মানুষ এখন চায় না। এখান থেকে আমরা আহবান করছি পুরনো রাজনীতি দিয়ে ফাসিবাদকে দমন করা যায়নি। নতুনরা নতুনভাবে প্রতিবাদ করেছে বিধায় আজকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘তিন দল নিয়ে এ জোটের যাত্রা শুরু হলেও আগামী দিনে তা আরও বর্ধিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।


























