ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শহীদ জিয়ার আত্মত্যাগ স্মরণে দেশবাসীকে সুশৃঙ্খল হওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৪৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৫৪২ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করেছেন। সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর রমনাস্থ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, “প্রতিবছর এই দিনটি আমাদের পরিবারে আসে এক বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, সারা দেশের মানুষও হয়ে পড়েছিল বেদনাহত ও অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি দেশের সঙ্গে নিজের নামকে একাকার করে ফেলেছিলেন। সেই চট্টগ্রামেই তিনি এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

তিনি বলেন, “এ দেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা ও উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদের রূপকার শহীদ জিয়া। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে তিনি প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু আজও সেই গণতন্ত্রের পথচলা বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

খালেদা জিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব। এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই লক্ষ্যে সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলুন। সবাইকে মনে রাখতে হবে, শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।”

সভায় বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন ও অবদানের উপর আলোকপাত করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে, ব্যবহার হবে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র: ইরান

“গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শহীদ জিয়ার আত্মত্যাগ স্মরণে দেশবাসীকে সুশৃঙ্খল হওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার”

আপডেট সময় ০৭:৪৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করেছেন। সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর রমনাস্থ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, “প্রতিবছর এই দিনটি আমাদের পরিবারে আসে এক বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, সারা দেশের মানুষও হয়ে পড়েছিল বেদনাহত ও অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি দেশের সঙ্গে নিজের নামকে একাকার করে ফেলেছিলেন। সেই চট্টগ্রামেই তিনি এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

তিনি বলেন, “এ দেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা ও উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদের রূপকার শহীদ জিয়া। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে তিনি প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু আজও সেই গণতন্ত্রের পথচলা বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

খালেদা জিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব। এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই লক্ষ্যে সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলুন। সবাইকে মনে রাখতে হবে, শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।”

সভায় বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন ও অবদানের উপর আলোকপাত করেন।