ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দায় চাপিয়েছে জামায়াতের ওপর: গোলাম পরওয়ার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:০০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

 

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার রহস্য উদঘাটনে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রা আমাদের বুদ্ধিজীবী তথা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য এখনো রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর কোন সরকারই এ হত্যাকাণ্ডের বিচারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য সব দোষ জামায়াতের ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট হলরুমে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারের মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা-১২ আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা ও ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মু. আতাউর রহমান সরকার, জামাল উদ্দিন, মুহিবুল্লাহ ও নাসির উদ্দীন প্রমুখ।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে ভারত এবং তাদের এদেশীয় এজেন্ট জড়িত ছিল তা ভারতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও লেখকদের লেখনি থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৪ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা থাকলেও ভারতীয় পরিকল্পনায় তা ২ দিন বিলম্বিত হয়। আর এ দু’দিনে আমাদের শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, প্রকৌশলী, আইনবিদসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিলো। তিনি বলেন, যাদেরকে সে সময় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষে হলেও ভারত ও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের আদর্শ বিরোধী ছিলো। তাই তাদের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করার জন্যই এসব বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তী কোন সরকারই বুদ্ধিজীবী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। বরঞ্চ আওয়ামী লীগ তদন্ত রিপোর্ট চাপা দিয়ে রেখেছে। এমনকি চলচিত্রকার শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হানের অন্তর্ধানের ঘটনা রহস্যাবৃত্তই রয়ে গেছে। তিনি বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের আহবান জানান ।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জাতি হিসেবে যারা আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি, তারাই এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের অপশক্তি। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় যে, বিজয়ের ৫ দশক অতিক্রান্ত হলেও এ হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। স্বাধীন দেশে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হানের হত্যার রহস্যের জট এখনো খোলেনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে থাকতে পারবেন না

ভারত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দায় চাপিয়েছে জামায়াতের ওপর: গোলাম পরওয়ার

আপডেট সময় ১১:০০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

 

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার রহস্য উদঘাটনে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রা আমাদের বুদ্ধিজীবী তথা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য এখনো রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর কোন সরকারই এ হত্যাকাণ্ডের বিচারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য সব দোষ জামায়াতের ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট হলরুমে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারের মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা-১২ আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা ও ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মু. আতাউর রহমান সরকার, জামাল উদ্দিন, মুহিবুল্লাহ ও নাসির উদ্দীন প্রমুখ।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে ভারত এবং তাদের এদেশীয় এজেন্ট জড়িত ছিল তা ভারতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও লেখকদের লেখনি থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৪ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা থাকলেও ভারতীয় পরিকল্পনায় তা ২ দিন বিলম্বিত হয়। আর এ দু’দিনে আমাদের শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, প্রকৌশলী, আইনবিদসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিলো। তিনি বলেন, যাদেরকে সে সময় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষে হলেও ভারত ও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের আদর্শ বিরোধী ছিলো। তাই তাদের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করার জন্যই এসব বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তী কোন সরকারই বুদ্ধিজীবী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। বরঞ্চ আওয়ামী লীগ তদন্ত রিপোর্ট চাপা দিয়ে রেখেছে। এমনকি চলচিত্রকার শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হানের অন্তর্ধানের ঘটনা রহস্যাবৃত্তই রয়ে গেছে। তিনি বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের আহবান জানান ।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জাতি হিসেবে যারা আমাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি, তারাই এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের অপশক্তি। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় যে, বিজয়ের ৫ দশক অতিক্রান্ত হলেও এ হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। স্বাধীন দেশে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হানের হত্যার রহস্যের জট এখনো খোলেনি।