আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয় দিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলকে আলাদা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এ বক্তব্য দেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কে দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “আপনারা যদি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তাহলে যারা আপনাদের থেকে স্বাধীনতা চায়, তাদের আশ্রয় দিয়ে আমরা সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেব।”
তিনি আরও বলেন, যারা এখনো দিল্লির তাবেদারি করছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এনসিপি ‘তৃতীয় স্বাধীনতা’ অর্জন করবে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, একজন মানুষের মৃত্যু নির্বাচন কমিশনের কাছে কেবল একটি সংখ্যা মাত্র। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার চলে গেলে হাজারজন পাওয়া যাবে, কিন্তু নিহত হাদি চলে গেলে আর কোনো হাদিকে পাওয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকা ‘নীল দলের শিক্ষকরা’ এখনো বহাল রয়েছে এবং তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান।
রাজনৈতিক দল ও নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা শহীদ মিনারের কর্মসূচিতে অংশ নেননি, তারা যেন ক্ষমতার লোভে অন্ধ না হন। আবার যারা অংশ নিয়েছেন, তারা যেন শুধু বক্তব্য দিয়ে পরে ক্ষমতার দরকষাকষিতে না জড়ান—এভাবে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের গণহত্যাকারী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও খুনিদের আশ্রয় দেওয়া হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিক হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস যদি এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও দাবি ভারতের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ওই ভবনগুলোর অস্তিত্বের প্রয়োজন নেই।
আগামী দিনে জুলাই আন্দোলন ও আন্দোলনের যোদ্ধাদের ওপর কেউ আঘাত হানতে চাইলে তার আগুন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সারজিস আলম।



















