ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নগদে ১৫০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত নাহিদ ইসলামের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ৫৫৮ বার পড়া হয়েছে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি (NCP) গঠন করে রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসার পরও নাহিদ ইসলাম এখনো বিতর্কের বাইরে থাকতে পারছেন না। এবার অভিযোগ উঠেছে, তারই প্রাক্তন পিএ (পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) আতিক মোর্শেদ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া, নগদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁই সহ নিকট আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগও এসেছে তার বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন

আজ শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে তিনি লেখেন,

“সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা তদন্ত কমিটি গঠন করেননি। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায়, নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই কি আতিক এসব কাজে জড়িত ছিলেন?”

রাশেদ খাঁনের অভিযোগ অনুযায়ী, নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকি এবং আতিক মোর্শেদ মিলে এই দুর্নীতির নেপথ্য কারিগর।

তথ্য মতে, ১৮ মে রাতে মুয়ীজ ত্বকিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করলেও, পরদিনই আতিক মোর্শেদের হস্তক্ষেপে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়

এখানেই থেমে থাকেননি রাশেদ। তিনি বলেন,

“আতিক মোর্শেদ নগদের কোনো কর্মকর্তা না হয়েও ৬ তলার একটি কক্ষে নিয়মিত অফিস করছেন। তাঁর স্ত্রীকে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার এবং আরো আত্মীয়দের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নগদের অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

সাবেক তথ্য উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন,

“নাহিদ ইসলামের একটি কথা আমার কানে বাজে— ‘আমাদের ডোনেট করছে ধনীরা’। কিন্তু সেই ধনীরা কারা? তারা কি এই দুর্নীতির পেছনে?”

সবশেষে তিনি প্রশ্ন রাখেন:

“নাহিদ ইসলাম কি আজকেই পুলিশের হাতে তার প্রাক্তন সহকারীকে তুলে দেবেন? নাহলে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া এই দুর্নীতির দায় তিনি এড়াতে পারেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান এখন গাজা: জাতিসংঘ

নগদে ১৫০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত নাহিদ ইসলামের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদ

আপডেট সময় ০৩:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি (NCP) গঠন করে রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসার পরও নাহিদ ইসলাম এখনো বিতর্কের বাইরে থাকতে পারছেন না। এবার অভিযোগ উঠেছে, তারই প্রাক্তন পিএ (পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) আতিক মোর্শেদ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া, নগদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁই সহ নিকট আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগও এসেছে তার বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন

আজ শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে তিনি লেখেন,

“সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা তদন্ত কমিটি গঠন করেননি। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায়, নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই কি আতিক এসব কাজে জড়িত ছিলেন?”

রাশেদ খাঁনের অভিযোগ অনুযায়ী, নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকি এবং আতিক মোর্শেদ মিলে এই দুর্নীতির নেপথ্য কারিগর।

তথ্য মতে, ১৮ মে রাতে মুয়ীজ ত্বকিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করলেও, পরদিনই আতিক মোর্শেদের হস্তক্ষেপে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়

এখানেই থেমে থাকেননি রাশেদ। তিনি বলেন,

“আতিক মোর্শেদ নগদের কোনো কর্মকর্তা না হয়েও ৬ তলার একটি কক্ষে নিয়মিত অফিস করছেন। তাঁর স্ত্রীকে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার এবং আরো আত্মীয়দের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নগদের অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

সাবেক তথ্য উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন,

“নাহিদ ইসলামের একটি কথা আমার কানে বাজে— ‘আমাদের ডোনেট করছে ধনীরা’। কিন্তু সেই ধনীরা কারা? তারা কি এই দুর্নীতির পেছনে?”

সবশেষে তিনি প্রশ্ন রাখেন:

“নাহিদ ইসলাম কি আজকেই পুলিশের হাতে তার প্রাক্তন সহকারীকে তুলে দেবেন? নাহলে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া এই দুর্নীতির দায় তিনি এড়াতে পারেন।