ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়নাতদন্ত শেষে রুমীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৪৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

 

রাজধানীতে একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার করার এনসিপি নেতা জান্নাত আরা রুমীর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের লেকচারার ডা. আইসা পারভিন।

‎‎জানা যায়, নিহত জান্নাত আরা রুমী এনসিপির ধানমন্ডি থানা (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার নজিরপুর গ্রামে। তিনি মো. জাকির হোসেনের মেয়ে।

এর আগে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা রুমীকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমী। হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন। এসব কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড্ ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে আসলেও বিমর্ষ থাকতেন রুমী।

গত ১৪ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ চলাকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মধ্য বয়সী এক নারী মারধোরের শিকার হন। সেই মারধরে জড়িত থাকার ঘটনায় আলোচনায় আসেন জান্নাত আরা রুমী।

রুমীর বর্তমান ঠিকানা, পারিবারিক পরিচয়, গ্রামের ঠিকানা সবই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি যোগ করেন, রুমীর পরিবারের সদস্যরাও একই রকম হুমকি-ধামকির মুখে পড়ায়, সেটি পারিবারিক জটিলতা বা চাপের কারণ হয়ে থাকতে পারে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। কিন্তু, যদি আত্মহত্যাও হয় এর পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি-ধামকি দায়ী বলে আমি মনে করি।

এদিকে, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পুলিশ সম্ভাব্য সকল বিষয় আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানান হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে জান্নাত আরা রুমী হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনেও তিনি কিছু জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি

ময়নাতদন্ত শেষে রুমীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

 

রাজধানীতে একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার করার এনসিপি নেতা জান্নাত আরা রুমীর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‎বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের লেকচারার ডা. আইসা পারভিন।

‎‎জানা যায়, নিহত জান্নাত আরা রুমী এনসিপির ধানমন্ডি থানা (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার নজিরপুর গ্রামে। তিনি মো. জাকির হোসেনের মেয়ে।

এর আগে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান গণমাধ্যম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা রুমীকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমী। হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন। এসব কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড্ ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে আসলেও বিমর্ষ থাকতেন রুমী।

গত ১৪ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ চলাকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মধ্য বয়সী এক নারী মারধোরের শিকার হন। সেই মারধরে জড়িত থাকার ঘটনায় আলোচনায় আসেন জান্নাত আরা রুমী।

রুমীর বর্তমান ঠিকানা, পারিবারিক পরিচয়, গ্রামের ঠিকানা সবই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি যোগ করেন, রুমীর পরিবারের সদস্যরাও একই রকম হুমকি-ধামকির মুখে পড়ায়, সেটি পারিবারিক জটিলতা বা চাপের কারণ হয়ে থাকতে পারে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। কিন্তু, যদি আত্মহত্যাও হয় এর পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি-ধামকি দায়ী বলে আমি মনে করি।

এদিকে, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পুলিশ সম্ভাব্য সকল বিষয় আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানান হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে জান্নাত আরা রুমী হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনেও তিনি কিছু জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।