বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। শুক্রবার (৩০ মে) বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সরাসরি ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
নির্বাচিত হওয়ার পরদিন মিরপুরে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বুলবুল। সেখানে বিসিবির সঙ্গে তার যুক্ত হওয়ার গল্প শোনান। জানান, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (NSC) থেকে একটি ফোন পান তিনি। বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আমি একটা ফোন কল পাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এনএসসি থেকে। বলা হয়, আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়া হবে আপনি কি গ্রহণ করবেন?’
তিনি জানান, সম্মানিত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার একটি ফোনকলেই বিসিবির দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হন। বুলবুল বলেন, ‘ফোনটা পেয়েছিলাম সম্মানিত ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে। তিনি যখন কলটা করেছেন, তখন পিছনে ফিরে তাকাইনি। শুধু ভেবেছি, কীভাবে সেই ফোনকলটাকে সম্মান করা যায়। তিনি ফোন করায় আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি। এখন আমার কাজ দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা সবাই মিলে একটা দল। আমরা বাংলাদেশকে সমর্থন করি। সবাই মিলেই দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করব।’
ক্রিকেট বোর্ডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বুলবুল বলেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ, আমি ফেইল করবো না।’ একইসঙ্গে ক্রিকেটের ভিন্ন ফরম্যাট সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা, ওয়ানডে হয় সাত ঘণ্টা। আমি একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে চাই।’
অক্টোবরে আসন্ন বিসিবির নিয়মিত নির্বাচন সামনে রেখে তার মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বুলবুল বলেন, তিনি তিন মাসের জন্য দায়িত্ব নিতে আসেননি। তার বক্তব্য, ‘আমি বিসিবির নির্বাচিত সভাপতি। কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেম নিয়ে এখানে আসিনি।’
উল্লেখ্য, তার আগে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদচ্যুত করা হয়। ‘দুর্নীতিপরায়ণতা’ ও ‘স্বজনপ্রীতি’র মতো গুরুতর অভিযোগ এনে বিসিবির ৮ পরিচালক তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর পর তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটি একটি নতুন অধ্যায়। সবাই আশাবাদী যে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বে দেশের ক্রিকেট আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।