ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের হুমকির পর আগ্রাসনের ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানি প্রেসিডেন্টের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করে হামলার হুমকির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সেই সঙ্গে সতর্ক করেছেন, যে কোনো আগ্রাসনের প্রতি ‘কঠোর’ এবং ‘অনুশোচনাপ্রসূত’ জবাব দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পেজেশকিয়ান এক্স-পোস্টে লিখেছেন, ‘যে কোনো নিপীড়নমূলক আগ্রাসনের প্রতি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া হবে কঠোর এবং অনুশোচনাপ্রসূত।’

গতকাল সোমবার ফ্লোরিডায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, ‘আমি আশা করি তারা (ইরান) আবার জড়ো হওয়ার চেষ্টা করবে না, কারণ যদি তারা তা করে তাহলে খুব দ্রুত সেই জড়ো হওয়া নির্মূল করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।’

তিনি বলেন, বিষ্যতে মার্কিন আক্রমণ ‘গতবারের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে পারে।’

এই প্রথম ট্রাম্প ইরানের প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের স্পষ্ট হুমকি দিলেন, যা দেশটির প্রতিরক্ষামূলক মতবাদের ভিত্তি।

গত জুন মাসে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র- তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

ইরান দুই মাসের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে- এমন অযাচাইকৃত দাবির পুনরাবৃত্তি করে আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।

আইএইএ এবং ইরানি কর্মকর্তাদের বারবার নিশ্চিতকরণের মুখেও এই দাবিগুলো চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তেহরান বলে আসছে, দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ- যা জ্বালানি ও চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য তৈরি।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন ডিসি জাহিদুল

ট্রাম্পের হুমকির পর আগ্রাসনের ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানি প্রেসিডেন্টের

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করে হামলার হুমকির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সেই সঙ্গে সতর্ক করেছেন, যে কোনো আগ্রাসনের প্রতি ‘কঠোর’ এবং ‘অনুশোচনাপ্রসূত’ জবাব দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পেজেশকিয়ান এক্স-পোস্টে লিখেছেন, ‘যে কোনো নিপীড়নমূলক আগ্রাসনের প্রতি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া হবে কঠোর এবং অনুশোচনাপ্রসূত।’

গতকাল সোমবার ফ্লোরিডায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, ‘আমি আশা করি তারা (ইরান) আবার জড়ো হওয়ার চেষ্টা করবে না, কারণ যদি তারা তা করে তাহলে খুব দ্রুত সেই জড়ো হওয়া নির্মূল করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।’

তিনি বলেন, বিষ্যতে মার্কিন আক্রমণ ‘গতবারের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে পারে।’

এই প্রথম ট্রাম্প ইরানের প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের স্পষ্ট হুমকি দিলেন, যা দেশটির প্রতিরক্ষামূলক মতবাদের ভিত্তি।

গত জুন মাসে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র- তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

ইরান দুই মাসের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে- এমন অযাচাইকৃত দাবির পুনরাবৃত্তি করে আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।

আইএইএ এবং ইরানি কর্মকর্তাদের বারবার নিশ্চিতকরণের মুখেও এই দাবিগুলো চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তেহরান বলে আসছে, দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ- যা জ্বালানি ও চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য তৈরি।