তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। লাহোরে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টাইগারদের দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই অতিক্রম করে স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ হারিসের ১০৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করেই ১৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সহজ জয়
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ১ রানে আউট হন শোয়াবজাদা ফারহান। তবে এরপরই পরিস্থিতি বদলে দেন মোহাম্মদ হারিস ও সাইম আয়ুব। এই জুটি বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। আয়ুব ৪৫ রান করে ফিরে গেলেও, ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন হারিস। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ঝকঝকে একটি সেঞ্চুরি (৬১ বলে ১০৭ রান, ৯ চার ও ৫ ছক্কা)। তার সঙ্গে হাসান নাওয়াজের ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বাকি বোলারদের মধ্যে কেউই উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পারেননি।
টাইগারদের রেকর্ড গড়া ইনিংস
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। এই জুটি মাত্র ১১ ওভারে গড়ে তোলে ১১০ রান।
পারভেজ ইমন খেলেন ঝড়ো ইনিংস, মাত্র ২৭ বলে করেন ফিফটি এবং শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে করেন ৬৬ রান। তামিম ছিলেন কিছুটা ধীরগতির, কিন্তু কার্যকরী ইনিংসে করেন ৩২ বলে ৪২ রান। তামিমের বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন লিটন দাস (১৮ বলে ২২) ও তাওহিদ হৃদয় (১৮ বলে ২৫), যারা ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শেষদিকে জাকের আলির ৯ বলে অপরাজিত ১৫ রানে দল পৌঁছে যায় ১৯৬-এ। তবে এত বড় সংগ্রহও যথেষ্ট হলো না বাংলাদেশের দুর্বল বোলিংয়ের কারণে।
সিরিজের সারসংক্ষেপ
এই জয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তান। পুরো সিরিজজুড়ে বাংলাদেশের বোলারদের ব্যর্থতা স্পষ্ট ছিল, বিশেষ করে চাপের মুখে লাইন-লেংথ ঠিক রাখতে পারেননি তারা। অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত মিললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।