ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“অপারেশন সিঁদুরের এক মাস পূর্তি: ভারতের নতুন অস্ত্র কেনা ও প্রস্তুতি, পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সংকল্প”

ভারতের সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (৭ জুন) জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারী কর্মকর্তা ও সেনাপ্রধান দিবসটি উদযাপন করেছেন। ২০১৯ সালের এই হামলায় ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানের উপর শক্তিশালী বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় তিন বাহিনীকে নতুন অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার কাউন্টারিং গোলাবারুদ, আর্টিলারি শেল, কামিকাজে ড্রোন ও বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ (বিভিআর) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল।

অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে চারটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং দুটি বড় সামরিক বিমান ভূপাতিত করে। এই হামলায় ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তান পাল্টা ‘অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসাস’ শুরু করলেও মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যেই পরাজিত হয়।

চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে মাথা নত করানো, কিন্তু ভারত মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিয়েছে। ভারতীয় ড্রোন পেশোয়ার থেকে হায়দরাবাদ পর্যন্ত পাকিস্তানের লক্ষ্যে হামলা চালায়, যেখানে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়।

এদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নতুন অস্ত্র কেনার অনুমোদন ও লজিস্টিক সাপ্লাই চেইন প্রস্তুতির মাধ্যমে ভারত পরবর্তী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার সংকল্প প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বারবার বলেছেন, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ

“অপারেশন সিঁদুরের এক মাস পূর্তি: ভারতের নতুন অস্ত্র কেনা ও প্রস্তুতি, পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সংকল্প”

আপডেট সময় ১২:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

ভারতের সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (৭ জুন) জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারী কর্মকর্তা ও সেনাপ্রধান দিবসটি উদযাপন করেছেন। ২০১৯ সালের এই হামলায় ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানের উপর শক্তিশালী বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় তিন বাহিনীকে নতুন অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার কাউন্টারিং গোলাবারুদ, আর্টিলারি শেল, কামিকাজে ড্রোন ও বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ (বিভিআর) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল।

অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে চারটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং দুটি বড় সামরিক বিমান ভূপাতিত করে। এই হামলায় ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তান পাল্টা ‘অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসাস’ শুরু করলেও মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যেই পরাজিত হয়।

চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে মাথা নত করানো, কিন্তু ভারত মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিয়েছে। ভারতীয় ড্রোন পেশোয়ার থেকে হায়দরাবাদ পর্যন্ত পাকিস্তানের লক্ষ্যে হামলা চালায়, যেখানে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়।

এদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নতুন অস্ত্র কেনার অনুমোদন ও লজিস্টিক সাপ্লাই চেইন প্রস্তুতির মাধ্যমে ভারত পরবর্তী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার সংকল্প প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বারবার বলেছেন, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।