ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় স্বার্থে ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নয়: বিএনপিকে খালেদা জিয়ার পরামর্শ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:০২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • ৫৭০ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কোনও ধরনের দ্বন্দ্বে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ঈদুল আজহার সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্র জানায়, এই সাক্ষাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণের বিষয়ে বেগম জিয়া ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের কথা রয়েছে।

স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, তারেক রহমান আমন্ত্রণ পাওয়ার পর এই সাক্ষাতের সম্ভাব্যতা, আলোচ্য বিষয়, দলীয় অবস্থানসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ নিয়েছেন এবং তার অ্যাডভাইসরি পরিষদের সদস্যরাও এতে ভূমিকা রেখেছেন।

ঈদের দিন ফিরোজায় উপস্থিত থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে ম্যাডামের সঙ্গে সৌজন্যমূলক শুভেচ্ছা বিনিময়ই মূল উদ্দেশ্য ছিল। তবে পরবর্তীতে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে এবং তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

দলের ভেতরে এই সাক্ষাৎ নিয়ে মতবিরোধ আছে কি না—এ প্রশ্নে স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন স্পষ্ট করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের অবস্থান একই এবং সেখানে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তিনি বলেন, ‘আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় আমরা এই সাক্ষাৎকে ইতিবাচকভাবে দেখছি।’

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দেশের স্বার্থ, গণতন্ত্র ও জনগণের কল্যাণ বিবেচনায় এই আলোচনায় আগ্রহী হয়েছেন এবং আশা করা হচ্ছে, বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

সোমবার (৯ জুন) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারেক রহমান সদস্যদের মতামত জানতে চাইলে সবাই মোটামুটি একমত হন। কেউ এর বিরোধিতা করেননি। বৈঠকে স্থির হয়, তারেক রহমান ১৩ জুন লন্ডনে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৈঠকে অংশ নেবেন এবং সেখানে শুধু নির্বাচন নয়, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও আলোচনার বিষয় হতে পারে।

এই বৈঠককে ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ইভেন্ট’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যদি সব কিছু ঠিকঠাকভাবে এগোয়, তাহলে এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট।’

তবে এই বৈঠকে তারেক রহমানের সঙ্গে আর কে কে অংশ নেবেন বা এটি একান্ত সাক্ষাৎ কি না, সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দলীয় অবস্থান থেকে এই আলোচনায় এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং সমঝোতার মাধ্যমে একটি সহনীয় রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

বেগম খালেদা জিয়ার দিকনির্দেশনা ও দলের সর্বোচ্চ ফোরামের সর্বসম্মত মতাম

জনপ্রিয় সংবাদ

আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের একজন ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

জাতীয় স্বার্থে ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নয়: বিএনপিকে খালেদা জিয়ার পরামর্শ

আপডেট সময় ০৬:০২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কোনও ধরনের দ্বন্দ্বে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ঈদুল আজহার সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্র জানায়, এই সাক্ষাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণের বিষয়ে বেগম জিয়া ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের কথা রয়েছে।

স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, তারেক রহমান আমন্ত্রণ পাওয়ার পর এই সাক্ষাতের সম্ভাব্যতা, আলোচ্য বিষয়, দলীয় অবস্থানসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ নিয়েছেন এবং তার অ্যাডভাইসরি পরিষদের সদস্যরাও এতে ভূমিকা রেখেছেন।

ঈদের দিন ফিরোজায় উপস্থিত থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে ম্যাডামের সঙ্গে সৌজন্যমূলক শুভেচ্ছা বিনিময়ই মূল উদ্দেশ্য ছিল। তবে পরবর্তীতে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে এবং তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

দলের ভেতরে এই সাক্ষাৎ নিয়ে মতবিরোধ আছে কি না—এ প্রশ্নে স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন স্পষ্ট করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের অবস্থান একই এবং সেখানে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তিনি বলেন, ‘আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় আমরা এই সাক্ষাৎকে ইতিবাচকভাবে দেখছি।’

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দেশের স্বার্থ, গণতন্ত্র ও জনগণের কল্যাণ বিবেচনায় এই আলোচনায় আগ্রহী হয়েছেন এবং আশা করা হচ্ছে, বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

সোমবার (৯ জুন) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারেক রহমান সদস্যদের মতামত জানতে চাইলে সবাই মোটামুটি একমত হন। কেউ এর বিরোধিতা করেননি। বৈঠকে স্থির হয়, তারেক রহমান ১৩ জুন লন্ডনে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৈঠকে অংশ নেবেন এবং সেখানে শুধু নির্বাচন নয়, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও আলোচনার বিষয় হতে পারে।

এই বৈঠককে ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ইভেন্ট’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যদি সব কিছু ঠিকঠাকভাবে এগোয়, তাহলে এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট।’

তবে এই বৈঠকে তারেক রহমানের সঙ্গে আর কে কে অংশ নেবেন বা এটি একান্ত সাক্ষাৎ কি না, সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দলীয় অবস্থান থেকে এই আলোচনায় এগিয়ে যাওয়া উচিত এবং সমঝোতার মাধ্যমে একটি সহনীয় রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

বেগম খালেদা জিয়ার দিকনির্দেশনা ও দলের সর্বোচ্চ ফোরামের সর্বসম্মত মতাম