জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরেকটি অভ্যুত্থানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। তিনি বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তরুণ প্রজন্মকে প্রচলিত ধারার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে কোনো কিছুকে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে সমালোচনামূলক বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করার গুরুত্বও তুলে ধরেন।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঠাকুরগাঁও চিরন্তন’ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যেখানে হয়তো আবারো একটি গণ-অভ্যুত্থান প্রয়োজন হয়ে পড়তে পারে। আমরা যদি চোখ-কান বন্ধ করে থাকি, তাহলে পুরনো দমনমূলক ব্যবস্থা আবার ফিরে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের ঠাকুরগাঁওয়ের কথাই ভাবুন। এখানেও চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার, মামলা বাণিজ্য—সবই চলছে। মামলা দেওয়ার আগে টাকা চাওয়া হয়, নাম কাটা কিংবা জামিনের জন্যও টাকা দাবি করা হয়। অথচ এই কাজগুলো এখন আর সরাসরি আওয়ামী লীগ করছে না। তাহলে করছে কারা? যারা করছে, তাদেরকে প্রতিহত না করলে তারা ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।”
তার ভাষায়, “ফেরাউন, নমরুদ কিংবা শেখ হাসিনার থেকেও কাউকে বেশি শক্তিশালী ভাবার কোনো যুক্তি নেই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বর তুলতে হবে, এবং সমাজে চলমান অন্যায় ও অপরাধমূলক চক্রগুলোর মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—ইএসডিওর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক শহীদুজ্জামান, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, এবং জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসাইন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘ঠাকুরগাঁও চিরন্তন’-এর সভাপতি সুজন আলী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসান।