ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“শকুনেরা এখনো হাত পেতে আছে দেশ দখলের জন্য”—শুকরানা সমাবেশে এটিএম আজহারুল ইসলাম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৪২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় খালাসপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রংপুরের তারাগঞ্জে আয়োজিত শুকরানা সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, “শকুনেরা এখনো হাত পেতে আছে দেশটা দখলের জন্য। তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি দাবি করেন, যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ রায় বের হলে দেখা যাবে তারা অন্যায়ভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। সেইসঙ্গে এসব ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডের’ সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।

এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, “আদালত এক সময় দলীয় রাজনীতির মাধ্যমে চলেছে। এখন সেই আদালত মুক্ত হয়েছে বলেই আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। যেই বিচারকরা আমাকে সাজা দিয়েছেন, তারা কোথায়?”

তিনি আরও বলেন, “আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছিল। যেসব বিচারপতি বিবেক হারিয়ে রায় দিয়েছেন, তাদের কারণে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।”

তিনি জামায়াত নেতাদের ফাঁসির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মাওলানা নিজামী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা—এরা সবাই মিথ্যা মামলার শিকার। মীর কাশেম আলী মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন, তাকেও ফাঁসি দেওয়া হয়।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবার ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে। আমি বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচন করব। নির্বাচিত হলে হারামের টাকায় হাত দেব না।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। পরে তিনি বদরগঞ্জের শাহাপুর মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী ও আরও এক শুকরানা সমাবেশে অংশ নেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গণসংযোগে নিহত ১৫ মামলার আসামি সরওয়ার বিএনপির কেউ নন: আমীর খসরু

“শকুনেরা এখনো হাত পেতে আছে দেশ দখলের জন্য”—শুকরানা সমাবেশে এটিএম আজহারুল ইসলাম

আপডেট সময় ০৬:৪২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় খালাসপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রংপুরের তারাগঞ্জে আয়োজিত শুকরানা সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, “শকুনেরা এখনো হাত পেতে আছে দেশটা দখলের জন্য। তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি দাবি করেন, যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ রায় বের হলে দেখা যাবে তারা অন্যায়ভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। সেইসঙ্গে এসব ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডের’ সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।

এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, “আদালত এক সময় দলীয় রাজনীতির মাধ্যমে চলেছে। এখন সেই আদালত মুক্ত হয়েছে বলেই আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। যেই বিচারকরা আমাকে সাজা দিয়েছেন, তারা কোথায়?”

তিনি আরও বলেন, “আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছিল। যেসব বিচারপতি বিবেক হারিয়ে রায় দিয়েছেন, তাদের কারণে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।”

তিনি জামায়াত নেতাদের ফাঁসির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মাওলানা নিজামী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা—এরা সবাই মিথ্যা মামলার শিকার। মীর কাশেম আলী মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন, তাকেও ফাঁসি দেওয়া হয়।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবার ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে। আমি বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচন করব। নির্বাচিত হলে হারামের টাকায় হাত দেব না।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। পরে তিনি বদরগঞ্জের শাহাপুর মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী ও আরও এক শুকরানা সমাবেশে অংশ নেন।