আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে টাটা গ্রুপ। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক্স (পূর্বে টুইটার)–এ লিখেছেন, “এ মুহূর্তে আমরা কতটা ব্যথিত সেটি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যাদের প্রিয়জন আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি ও প্রার্থনা করছি।”
টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার AI ১৭১ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনাটি ঘটে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে। বিমানটি সর্বোচ্চ ৮২৫ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল এবং এরপর দ্রুত নিচে নেমে এসে মাটিতে ধাক্কা খায়। আছড়ে পড়ার সময় সহ-পাইলট জরুরি সংকেত হিসেবে ‘মে ডে’ কল পাঠিয়েছিলেন। তবে এরপর আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বিমানটি মাটিতে পড়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তা আগুনে জ্বলে ওঠে এবং কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। এ ঘটনায় মেডিকেল কলেজের কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া কলেজের ছাত্রাবাস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টাটা গ্রুপ। এছাড়া যেসব যাত্রী আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার পূর্ণ ব্যয়ভার বহনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংস্থাটি। কলেজটির পুনর্গঠনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে টাটা গ্রুপ।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ করে। AI ১৭১ ফ্লাইটটিতে ছিলেন:
১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক
৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক
১ জন কানাডীয় নাগরিক
৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক
ভারতের ইতিহাসে এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া