ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের একজন ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • ৫৬৭ বার পড়া হয়েছে

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সবাই নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও, একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে।

বিমানটির ১১এ নম্বর আসনে থাকা এক ব্রিটিশ যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ বেঁচে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে আহমেদাবাদ পুলিশ।

আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার জিএস মালিক ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, রমেশ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, “বেঁচে যাওয়া ওই যাত্রী বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়েন। হাসপাতালে তার অবস্থা স্থিতিশীল।”

BBC ও NDTV-র খবরে জানা যায়, রমেশ সাংবাদিকদের সামনে তার বোর্ডিং পাস দেখিয়েছেন, যাতে তার নাম ও আসন নম্বর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
তিনি বলেন,

> “উড়ানের মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিকট শব্দ হয়। কিছু বোঝার আগেই বিমানটি নিচে পড়ে যায়। যখন আমি উঠে দাঁড়াই, চারপাশে শুধু লাশ। ভয় পেয়ে দৌড় দেই। আমার পায়ে আঘাত লেগেছে। পরে একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে এবং হাসপাতালে নিয়ে আসে।”

 

দুর্ঘটনার সময় বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন—এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু।
বিমানটি আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দর অভিমুখে যাত্রা করেছিল।

কিন্তু উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানবন্দরের কাছেই একটি মেডিকেল হোস্টেল ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়।
এ দুর্ঘটনায় ওই কলেজের কমপক্ষে ৫ শিক্ষার্থী নিহত হন।

এয়ার ইন্ডিয়ার প্রকাশিত যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, বিমানে ছিলেন:

১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক

৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক

১ জন কানাডীয় নাগরিক

৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক

বিমানটি পরিচালনা করছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল, সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও তদন্তাধীন।
তবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্র জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে উড্ডয়নের পর কিছু সময় পরই বিমানটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

রয়টার্স পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এরা সবাই বিমানের আরোহী কিনা, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্বাস কুমার রমেশ জীবিত থাকলেও তার ভাই, যিনি একই ফ্লাইটে ছিলেন, এখনও নিখোঁজ। তিনি ভাইয়ের সন্ধানে হাসপাতাল থেকেই খোঁজ চালাচ্ছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ

আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত বিমানের একজন ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

আপডেট সময় ১১:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সবাই নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও, একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে।

বিমানটির ১১এ নম্বর আসনে থাকা এক ব্রিটিশ যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ বেঁচে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে আহমেদাবাদ পুলিশ।

আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার জিএস মালিক ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, রমেশ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, “বেঁচে যাওয়া ওই যাত্রী বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়েন। হাসপাতালে তার অবস্থা স্থিতিশীল।”

BBC ও NDTV-র খবরে জানা যায়, রমেশ সাংবাদিকদের সামনে তার বোর্ডিং পাস দেখিয়েছেন, যাতে তার নাম ও আসন নম্বর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
তিনি বলেন,

> “উড়ানের মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিকট শব্দ হয়। কিছু বোঝার আগেই বিমানটি নিচে পড়ে যায়। যখন আমি উঠে দাঁড়াই, চারপাশে শুধু লাশ। ভয় পেয়ে দৌড় দেই। আমার পায়ে আঘাত লেগেছে। পরে একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে এবং হাসপাতালে নিয়ে আসে।”

 

দুর্ঘটনার সময় বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন—এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু।
বিমানটি আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দর অভিমুখে যাত্রা করেছিল।

কিন্তু উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানবন্দরের কাছেই একটি মেডিকেল হোস্টেল ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়।
এ দুর্ঘটনায় ওই কলেজের কমপক্ষে ৫ শিক্ষার্থী নিহত হন।

এয়ার ইন্ডিয়ার প্রকাশিত যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, বিমানে ছিলেন:

১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক

৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক

১ জন কানাডীয় নাগরিক

৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক

বিমানটি পরিচালনা করছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল, সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও তদন্তাধীন।
তবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্র জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে উড্ডয়নের পর কিছু সময় পরই বিমানটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

রয়টার্স পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এরা সবাই বিমানের আরোহী কিনা, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্বাস কুমার রমেশ জীবিত থাকলেও তার ভাই, যিনি একই ফ্লাইটে ছিলেন, এখনও নিখোঁজ। তিনি ভাইয়ের সন্ধানে হাসপাতাল থেকেই খোঁজ চালাচ্ছেন।