ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“মামলাবাজ কুদ্দুস”– বড় ভাইকে হয়রানি ও জমি দখলসহ একের পর এক অপকর্মের অভিযোগ, স্থানীয়দের প্রতিবাদের পরও চলছেই তুষ্টি‑তাণ্ডব

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:২০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৫৫২ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা সদর উপজেলার ১ নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামে দীর্ঘ দুই দশক ধরে বড় ভাই আব্দুল বারেক ও এলাকাবাসীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের ভাষায় ‘মামলাবাজ’ ও ‘সুদখোর কুদ্দুস’—একাই পাঁচটি মিথ্যা মামলা দায়ের, জমি দখল, বাঁশঝাড় কেটে নেওয়া, এসিড নিক্ষেপ ও রামদা নিয়ে হামলা–হুমকিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে জমি নিয়ে বড় ভাই আব্দুল বারেকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন কুদ্দুস। সালিশের সিদ্ধান্ত বারেক মেনে নিলেও কুদ্দুস মানেননি। এ সময় তিনি বারেক ও তার পরিবারের নামে জমি ও ফৌজদারি মিলিয়ে পাঁচটি মামলা করেন; প্রমাণের অভাবে পরে সব কটিই আদালতে খারিজ হয়।

স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে কুদ্দুসের ভরসাস্থল ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেলিম বিদেশে পাড়ি দিলে কুদ্দুস ভোল পাল্টে বিএনপির ১ নং ওয়ার্ডে “সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক” পদ বাগিয়ে নেন। পদ পেয়ে বড় ভাইয়ের ওপর অত্যাচার আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

আব্দুল বারেক বলেন, “আমার জমি দখল করে গাছ লাগিয়েছে, কাটতে গেলে খুনের হুমকি দেয়। পাঁচটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। ঈদের দিন কোরবানির বর্জ্য আমার ঘরের পাশে ফেলে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, কুদ্দুসের রামদা–সন্ত্রাসে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সালিশে সমাধান হলেও তিনি মানেন না; প্রতিবাদীদেরই হয়রানি করেন।

ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ফরহাদ ভূঁইয়া ‘টাকা নিয়ে পদ দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “দুই ভাইকে মিলিয়ে দিতে চাই; এলাকায় শান্তি ফিরবে।” তবে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, কুদ্দুসের অপকর্মের কথা জেনেও তাঁকে পদ দেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “পাঁচটা মামলা করেছি, জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত আরও করব—এটাই আমার সিদ্ধান্ত।”

স্থানীয়রা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিনের অভিযোগ সত্ত্বেও প্রশাসনিক উদ্যোগ কার্যকর না হওয়ায় কুদ্দুসের বেপরোয়া আচরণ থামছে না। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।

জনপ্রিয় সংবাদ

যাত্রাবাড়ী গণহত্যা: ৫২ জন নিহতের বিবিসি অনুসন্ধান উন্মোচন করল ইতিহাসের নির্মম এক অধ্যায়

“মামলাবাজ কুদ্দুস”– বড় ভাইকে হয়রানি ও জমি দখলসহ একের পর এক অপকর্মের অভিযোগ, স্থানীয়দের প্রতিবাদের পরও চলছেই তুষ্টি‑তাণ্ডব

আপডেট সময় ০৬:২০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

কুমিল্লা সদর উপজেলার ১ নং কালীর বাজার উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামে দীর্ঘ দুই দশক ধরে বড় ভাই আব্দুল বারেক ও এলাকাবাসীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস ও তার ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের ভাষায় ‘মামলাবাজ’ ও ‘সুদখোর কুদ্দুস’—একাই পাঁচটি মিথ্যা মামলা দায়ের, জমি দখল, বাঁশঝাড় কেটে নেওয়া, এসিড নিক্ষেপ ও রামদা নিয়ে হামলা–হুমকিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে জমি নিয়ে বড় ভাই আব্দুল বারেকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন কুদ্দুস। সালিশের সিদ্ধান্ত বারেক মেনে নিলেও কুদ্দুস মানেননি। এ সময় তিনি বারেক ও তার পরিবারের নামে জমি ও ফৌজদারি মিলিয়ে পাঁচটি মামলা করেন; প্রমাণের অভাবে পরে সব কটিই আদালতে খারিজ হয়।

স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে কুদ্দুসের ভরসাস্থল ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেলিম বিদেশে পাড়ি দিলে কুদ্দুস ভোল পাল্টে বিএনপির ১ নং ওয়ার্ডে “সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক” পদ বাগিয়ে নেন। পদ পেয়ে বড় ভাইয়ের ওপর অত্যাচার আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

আব্দুল বারেক বলেন, “আমার জমি দখল করে গাছ লাগিয়েছে, কাটতে গেলে খুনের হুমকি দেয়। পাঁচটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। ঈদের দিন কোরবানির বর্জ্য আমার ঘরের পাশে ফেলে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, কুদ্দুসের রামদা–সন্ত্রাসে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সালিশে সমাধান হলেও তিনি মানেন না; প্রতিবাদীদেরই হয়রানি করেন।

ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ফরহাদ ভূঁইয়া ‘টাকা নিয়ে পদ দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “দুই ভাইকে মিলিয়ে দিতে চাই; এলাকায় শান্তি ফিরবে।” তবে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করে জানান, কুদ্দুসের অপকর্মের কথা জেনেও তাঁকে পদ দেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “পাঁচটা মামলা করেছি, জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত আরও করব—এটাই আমার সিদ্ধান্ত।”

স্থানীয়রা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিনের অভিযোগ সত্ত্বেও প্রশাসনিক উদ্যোগ কার্যকর না হওয়ায় কুদ্দুসের বেপরোয়া আচরণ থামছে না। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।