কুমিল্লার মুরাদনগরের পাহাড়পুর ইউনিয়নের পান্তি বাজারে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ভিন্ন ঘটনায় তাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত সোমবার (৯ জুন) সকালে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে নিজ এলাকায় আসেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সকাল ১০টার দিকে তিনি পান্তি বাজারে পৌঁছান। তার আগেই বাজার এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্যকে ঘিরে মারামারির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় পাহারপুর সরকার বাড়ির কয়েকজনকে দৌঁড়ে মিষ্টির দোকানে নিয়ে মারধর করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। দুপক্ষই স্থানীয় বিএনপি কর্মী হিসেবে পরিচিত।
তবে ঘটনার ৩ দিন পর (১২ জুন) কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আসিফ মাহমুদের গাড়িবহরের কারণে সৃষ্টি হওয়া যানজট থেকে এই হামলার সূত্রপাত এবং তার অনুসারীরাই মারধরে জড়িত ছিলেন।
এ নিয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, “ঘটনা ৯ তারিখের, অথচ ১২ তারিখে মিথ্যা প্লট সাজিয়ে আমার ওপর দায় চাপানো হলো। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। পরে বিকেলে পাল্টা হামলাও চালানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিএনপির দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়, আর এর দায় দিয়ে দেওয়া হয় আমার ওপর—যার সাথে ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততাই নেই।”
ঘটনার প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে এবং মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-এর নেতারাও মুখ খুলেছেন। তারা বলেন, কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।