ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ৫৮৫, শিশু ও বেসামরিক প্রাণহানি উদ্বেগজনক

ইরানের ইসফাহানের নাজাফাবাদে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ওই নারীর স্বামী এবং দুটি শিশু (১০ ও ১৩ বছর বয়সী) রয়েছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল ঐ নারীর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী দুটি বেসামরিক গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যাতে একই পরিবারের একাধিক সদস্য প্রাণ হারান। হামলার নিন্দা জানিয়ে ইরান বলছে, এটি একটি স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।

সামরিক ও বেসামরিক উভয় স্থানে হামলা

মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জুন ভোর থেকে ইহুদিবাদী সরকার ইরানে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। শুধু সামরিক বা পরমাণু স্থাপনাই নয়, আবাসিক এলাকাও ইসরায়েলের নিশানায় পড়ে। হামলায় ইসফাহানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনারও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ইরান।

প্রাণহানির হিসাব

ইরান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৮৫ জন নিহত এবং ১,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি সাধারণ বেসামরিক নাগরিক, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

পাল্টা জবাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

ইসরায়েলি প্রেস অফিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইতোমধ্যেই ৪০০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং শত শত ড্রোন ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে। এতে ইসরায়েলের একাধিক সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

মানবিক উদ্বেগ

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ বেসামরিক নাগরিকদের এই হত্যাকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধের আওতায় তদন্ত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির আহ্বান এরদোয়ানের

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ৫৮৫, শিশু ও বেসামরিক প্রাণহানি উদ্বেগজনক

আপডেট সময় ১১:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ইরানের ইসফাহানের নাজাফাবাদে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ওই নারীর স্বামী এবং দুটি শিশু (১০ ও ১৩ বছর বয়সী) রয়েছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল ঐ নারীর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী দুটি বেসামরিক গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যাতে একই পরিবারের একাধিক সদস্য প্রাণ হারান। হামলার নিন্দা জানিয়ে ইরান বলছে, এটি একটি স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।

সামরিক ও বেসামরিক উভয় স্থানে হামলা

মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জুন ভোর থেকে ইহুদিবাদী সরকার ইরানে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। শুধু সামরিক বা পরমাণু স্থাপনাই নয়, আবাসিক এলাকাও ইসরায়েলের নিশানায় পড়ে। হামলায় ইসফাহানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনারও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ইরান।

প্রাণহানির হিসাব

ইরান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৮৫ জন নিহত এবং ১,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি সাধারণ বেসামরিক নাগরিক, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

পাল্টা জবাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

ইসরায়েলি প্রেস অফিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইতোমধ্যেই ৪০০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং শত শত ড্রোন ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে। এতে ইসরায়েলের একাধিক সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

মানবিক উদ্বেগ

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ বেসামরিক নাগরিকদের এই হত্যাকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধের আওতায় তদন্ত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।