ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“বিশ্বের সম্মানিত মানুষদের আনন্দ দিয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র”—আয়াতুল্লাহ খামেনি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

ইসরাইলের বিরুদ্ধে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শুক্রবার (২০ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত একটি ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি বলেছেন, “এমন ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশ্বের সম্মানিত ও মর্যাদাবান মানুষদের আনন্দ দিয়েছে।”

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, খামেনির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে শুরুতেই দেখা যায় গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও বেসামরিক মানুষের ওপর চালানো সহিংসতার দৃশ্য। এরপর ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আঘাত এবং তা ঘিরে সাধারণ মানুষের আনন্দ-উল্লাসের চিত্র। পাশাপাশি দেখানো হয় ধ্বংসস্তূপ ও বিস্ফোরণের দৃশ্য।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এই ভিডিও এবং খামেনির মন্তব্য মূলত ইরানের আক্রমণকে ‘ন্যায্য প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে তুলে ধরার কৌশল। বিশেষ করে, ফিলিস্তিন ও অন্যান্য মুসলিম দেশের জনগণের আবেগকে উসকে দিতেই এমন বার্তা ছড়ানো হয়েছে বলে মত তাদের।

খামেনির এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ এটিকে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে সরাসরি যুদ্ধপ্রবণ মনোভাব ও উত্তেজনা বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করছেন।

উল্লেখ্য, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে হামলার পর থেকেই ইরান-ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘাত চলছে। এতে উভয় পক্ষেই প্রাণহানি ঘটেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবিতে ইসরায়েলের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ, মুসলিম দেশগুলোকে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

“বিশ্বের সম্মানিত মানুষদের আনন্দ দিয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র”—আয়াতুল্লাহ খামেনি

আপডেট সময় ০৭:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইসরাইলের বিরুদ্ধে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শুক্রবার (২০ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত একটি ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি বলেছেন, “এমন ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশ্বের সম্মানিত ও মর্যাদাবান মানুষদের আনন্দ দিয়েছে।”

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, খামেনির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে শুরুতেই দেখা যায় গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও বেসামরিক মানুষের ওপর চালানো সহিংসতার দৃশ্য। এরপর ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আঘাত এবং তা ঘিরে সাধারণ মানুষের আনন্দ-উল্লাসের চিত্র। পাশাপাশি দেখানো হয় ধ্বংসস্তূপ ও বিস্ফোরণের দৃশ্য।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এই ভিডিও এবং খামেনির মন্তব্য মূলত ইরানের আক্রমণকে ‘ন্যায্য প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে তুলে ধরার কৌশল। বিশেষ করে, ফিলিস্তিন ও অন্যান্য মুসলিম দেশের জনগণের আবেগকে উসকে দিতেই এমন বার্তা ছড়ানো হয়েছে বলে মত তাদের।

খামেনির এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ এটিকে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে সরাসরি যুদ্ধপ্রবণ মনোভাব ও উত্তেজনা বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করছেন।

উল্লেখ্য, ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে হামলার পর থেকেই ইরান-ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘাত চলছে। এতে উভয় পক্ষেই প্রাণহানি ঘটেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা