ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই আ’ন্দোলনে ক্ষতি’গ্রস্ত প্রবা’সীদের স্বী’কৃতি ও মু’ক্তির দাবি, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন থেকে ক্ষো’ভ নিয়ে ফিরলেন আন্দো’লনকারীরা

চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক হওয়া বাংলাদেশি প্রবাসীদের মুক্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দেশে ফিরে আসা একদল প্রবাসী। রোববার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে চলে এ কর্মসূচি।

আন্দোলনকারীদের দাবি—জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে বিদেশে জেল-জুলুম সহ্য করা প্রবাসী কর্মীদের ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একইসঙ্গে তাদের রাষ্ট্রীয় তালিকাভুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং এখনো যাঁরা বন্দি রয়েছেন, তাদের দ্রুত মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিকেলে আন্দোলনের একপর্যায়ে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে সাক্ষাতের চেষ্টা করে। তবে দাবি তুলে ধরার সুযোগ পেলেও কোনো ধরনের আশ্বাস মেলেনি বলে জানান তারা।

প্রতিনিধি দল ফিরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে আমাদের কথা বলেছি। কিন্তু সেখান থেকে কোনো ইতিবাচক বার্তা পাইনি। আমাদের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই আমরা ক্ষুব্ধ। এই দেশ ও জাতির জন্য যাঁরা বিদেশে মুখোমুখি হয়েছিলেন শাস্তির, তাদের পাশে না দাঁড়ানো লজ্জাজনক।”

আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, “আমরা এই দেশের নাগরিক, আমরা কোনো অপরাধ করিনি। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছিলাম মাত্র। আজও যারা বন্দি আছেন, তাদের প্রতিটি দিন জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের মতো। সরকার যদি আমাদের আওয়াজ না শোনে, আমরা আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হব।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর বিক্ষোভ

জুলাই আ’ন্দোলনে ক্ষতি’গ্রস্ত প্রবা’সীদের স্বী’কৃতি ও মু’ক্তির দাবি, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন থেকে ক্ষো’ভ নিয়ে ফিরলেন আন্দো’লনকারীরা

আপডেট সময় ০৭:৫৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক হওয়া বাংলাদেশি প্রবাসীদের মুক্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দেশে ফিরে আসা একদল প্রবাসী। রোববার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে চলে এ কর্মসূচি।

আন্দোলনকারীদের দাবি—জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে বিদেশে জেল-জুলুম সহ্য করা প্রবাসী কর্মীদের ‘জুলাই প্রবাসী যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একইসঙ্গে তাদের রাষ্ট্রীয় তালিকাভুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং এখনো যাঁরা বন্দি রয়েছেন, তাদের দ্রুত মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিকেলে আন্দোলনের একপর্যায়ে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে সাক্ষাতের চেষ্টা করে। তবে দাবি তুলে ধরার সুযোগ পেলেও কোনো ধরনের আশ্বাস মেলেনি বলে জানান তারা।

প্রতিনিধি দল ফিরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে আমাদের কথা বলেছি। কিন্তু সেখান থেকে কোনো ইতিবাচক বার্তা পাইনি। আমাদের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই আমরা ক্ষুব্ধ। এই দেশ ও জাতির জন্য যাঁরা বিদেশে মুখোমুখি হয়েছিলেন শাস্তির, তাদের পাশে না দাঁড়ানো লজ্জাজনক।”

আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, “আমরা এই দেশের নাগরিক, আমরা কোনো অপরাধ করিনি। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছিলাম মাত্র। আজও যারা বন্দি আছেন, তাদের প্রতিটি দিন জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের মতো। সরকার যদি আমাদের আওয়াজ না শোনে, আমরা আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হব।”