ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামলার আগেই সতর্ক ছিল ইরান? ফোরদো স্থাপনায় ব্যতিক্রমধর্মী তৎপরতা ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটে

যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বিমান দিয়ে চালানো হামলার ঠিক আগে ইরানের অন্যতম গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট সাইট (FFEP)-এ অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শনাক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়া এসব দৃশ্য ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—তেহরান কি আগেই আঁচ করেছিল হামলার পরিকল্পনা?

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উপগ্রহ চিত্র সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজিস গত ১৯ ও ২০ জুন ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, সাইটটির টানেল প্রবেশপথের আশপাশে অন্তত ১৬টি মালবাহী ট্রাক সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছে, যেগুলো সরাসরি প্রবেশপথের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই এসব যানবাহন সাইটের মূল এলাকা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে স্থানান্তরিত হতে দেখা যায়। একইসঙ্গে সেখানে বুলডোজার ও অতিরিক্ত ট্রাক চলাচল লক্ষ্য করা গেছে—যা ইঙ্গিত দেয়, ফোরদোতে হয় সরঞ্জাম অপসারণ, নয়তো প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি চলছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঠিক আগেই সংঘটিত হয়েছে, যা থেকে অনুমান করা যায়—ইরান হামলার আগাম বার্তা পেয়ে থাকতে পারে। তেহরান হয়তো গোয়েন্দা তথ্য, উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ কিংবা কূটনৈতিক সতর্কতার মাধ্যমে হামলার পূর্বাভাস পেয়েছিল এবং তা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তাদের হামলায় ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র—নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইস্পাহান—লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং দেশটির পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ইরান পাল্টা বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলার আগে এসব স্থাপনা খালি করে নেওয়া হয়, ফলে ‘প্রায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি’।

ফোরদোতে ধরা পড়া যানবাহনের এই অস্বাভাবিক গতিবিধি ও প্রস্তুতি এই ইঙ্গিতই দেয় যে, ইরান হয়তো ঝুঁকি পূর্বাভাস পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলেছিল। ফলে মার্কিন হামলার প্রভাব সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর বিক্ষোভ

হামলার আগেই সতর্ক ছিল ইরান? ফোরদো স্থাপনায় ব্যতিক্রমধর্মী তৎপরতা ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটে

আপডেট সময় ০৮:০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বিমান দিয়ে চালানো হামলার ঠিক আগে ইরানের অন্যতম গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট সাইট (FFEP)-এ অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শনাক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়া এসব দৃশ্য ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—তেহরান কি আগেই আঁচ করেছিল হামলার পরিকল্পনা?

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উপগ্রহ চিত্র সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজিস গত ১৯ ও ২০ জুন ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, সাইটটির টানেল প্রবেশপথের আশপাশে অন্তত ১৬টি মালবাহী ট্রাক সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছে, যেগুলো সরাসরি প্রবেশপথের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই এসব যানবাহন সাইটের মূল এলাকা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে স্থানান্তরিত হতে দেখা যায়। একইসঙ্গে সেখানে বুলডোজার ও অতিরিক্ত ট্রাক চলাচল লক্ষ্য করা গেছে—যা ইঙ্গিত দেয়, ফোরদোতে হয় সরঞ্জাম অপসারণ, নয়তো প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি চলছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঠিক আগেই সংঘটিত হয়েছে, যা থেকে অনুমান করা যায়—ইরান হামলার আগাম বার্তা পেয়ে থাকতে পারে। তেহরান হয়তো গোয়েন্দা তথ্য, উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ কিংবা কূটনৈতিক সতর্কতার মাধ্যমে হামলার পূর্বাভাস পেয়েছিল এবং তা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তাদের হামলায় ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র—নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইস্পাহান—লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং দেশটির পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ইরান পাল্টা বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলার আগে এসব স্থাপনা খালি করে নেওয়া হয়, ফলে ‘প্রায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি’।

ফোরদোতে ধরা পড়া যানবাহনের এই অস্বাভাবিক গতিবিধি ও প্রস্তুতি এই ইঙ্গিতই দেয় যে, ইরান হয়তো ঝুঁকি পূর্বাভাস পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলেছিল। ফলে মার্কিন হামলার প্রভাব সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।