ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পরপরই দেশটির সঙ্গে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে সক্রিয় হয়েছে ওয়াশিংটন। প্রকাশ্য ও গোপন দুই মাধ্যমেই ইরানকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রোববার (২২ জুন) পেন্টাগনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হেগসেথ বলেন, “আমি শুধু এটুকুই নিশ্চিত করতে পারি, একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা ইরানকে বার্তা দিচ্ছি, যাতে তারা আলোচনার টেবিলে আসার সর্বোচ্চ সুযোগ পায়।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানি কর্তৃপক্ষ জানে, যুক্তরাষ্ট্র কী চাইছে এবং শান্তির জন্য তাদের কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আমরা আশাবাদী, তারা এই সুযোগ কাজে লাগাবে।”
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পাঁচ দফা পারমাণবিক আলোচনা হয়েছে। এসব আলোচনায় নেতৃত্ব দেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তবে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর বাতিল হয়ে যায় ২২ জুন নির্ধারিত ষষ্ঠ দফার বৈঠক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এই অচলাবস্থার পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নেন।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘সংলাপ ও চাপের যুগপৎ কৌশল’ অনুসরণ করছে—একদিকে কূটনৈতিক আলোচনার আহ্বান, অন্যদিকে সামরিক চাপ সৃষ্টি করে আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা।
ইরানের পক্ষ থেকে এখনো প্রকাশ্যে মার্কিন আহ্বানে সাড়া না মিললেও, ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে—তারা শর্তহীন আলোচনায় প্রস্তুত নয়। বরং আস্থার পরিবেশ তৈরি করাকে প্রাথমিক শর্ত হিসেবে দেখছে।
সূত্রমতে, তেহরান চায়—যুক্তরাষ্ট্র অতীতের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ব্যাখ্যা দিক এবং বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ রাখুক, তারপরই আলোচনা শুরু হতে পারে।