ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক মাঘে শীত যায় না, মব সৃষ্টি করে মারার বিচার হবে: শাজাহান খান

এবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মব সৃষ্টি করে মারা হচ্ছে। এসবের বিচার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। আজ সোমবার আদালতে হাজিরার এজলাস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

শাজাহান খান বলেন, ‘এটি ঠিক হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মব সৃষ্টি করে মারা হচ্ছে। এই যে মব জাস্টিস করে মানুষ হত্যা করলো…। ১৬২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী…। এক মাঘে শীত যায় না, এর বিচারও হবে। এর বিচার হবে না, এটা মনে করো না।’ এ সময় দেশ কেমন চলছে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে হাসি দিয়ে বলেন, ‘আপনারা তো দেখছেনই। এক হাতে তালি বাজে না।’ তারপর তিনি সাংবাদিকদের ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করেন হাসিমুখে।

এদিন সকাল ১০টার দিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ, বুকে বুলেট প্রুভ জ্যাকেট, ও মাথায় হেলমেট পরানো ছিলো। কাঠগড়ায় তোলার পর পুলিশ তাদের হ্যান্ডকাফ ও হেলমেট খুলে দেন। তারপর শাহজান খান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একে অপরের সঙ্গে গল্প করতে থাকেন।

নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও করেন তারা। পরবর্তীতে বিচারক এজলাসে এলে তারা নিশ্চুপ হয়ে যান। এদিন আদালতের দিকে মুখ করে সারিবদ্ধ লাইনের প্রথমে আনিসুল হক ও শাজাহান খানকে কাঠগড়ার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে একদম পিছনের সারিতে দাড়িয়ে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

আদালতে পুরোটা সময় সালমান এফ রহমানকে চুপচাপ ও নিরিবিলি থাকলে দেখা যায়। এদিন তার পরনে সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি ও পায়ে দুই ফিতার বার্মিজ সেন্ডেল দেখা যায়। আদালত শেষে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলেও কোন উত্তর দেননি তিনি।

এদিন সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম। রিমান্ড শুনানিকালে কথা বলেন শাজাহান খান। তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিজ্ঞ পিপি সাহেব উনি বিএনপির বড় নেতা। ভুতুড়ে মামলায় বারবার আমাদের রিমান্ডে নিচ্ছেন কেন?’

এ সময় উত্তরে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তারা গণভবনে বসে নীতিনির্ধারণী বৈঠক করেছে। তিনি (শাজাহান খান) আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তারা সাধারণ আসামি নয়। তারা মিডিয়ায় এসে স্বীকার করেছেন, আন্দোলনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না, দমন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো এসব ঘটনায় কোনো মামলা করিনি। ভুক্তভোগীদের আত্মীয়রা করেছেন। রিমান্ডেও তো আমরা নেই না। আমাদের শুনানি করার কাজ। সেটা আমরা করি।’ এরপর শুনানি শেষে এ মামলায় শাজাহান খান, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

এক মাঘে শীত যায় না, মব সৃষ্টি করে মারার বিচার হবে: শাজাহান খান

আপডেট সময় ০২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মব সৃষ্টি করে মারা হচ্ছে। এসবের বিচার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। আজ সোমবার আদালতে হাজিরার এজলাস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

শাজাহান খান বলেন, ‘এটি ঠিক হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মব সৃষ্টি করে মারা হচ্ছে। এই যে মব জাস্টিস করে মানুষ হত্যা করলো…। ১৬২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী…। এক মাঘে শীত যায় না, এর বিচারও হবে। এর বিচার হবে না, এটা মনে করো না।’ এ সময় দেশ কেমন চলছে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে হাসি দিয়ে বলেন, ‘আপনারা তো দেখছেনই। এক হাতে তালি বাজে না।’ তারপর তিনি সাংবাদিকদের ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করেন হাসিমুখে।

এদিন সকাল ১০টার দিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ, বুকে বুলেট প্রুভ জ্যাকেট, ও মাথায় হেলমেট পরানো ছিলো। কাঠগড়ায় তোলার পর পুলিশ তাদের হ্যান্ডকাফ ও হেলমেট খুলে দেন। তারপর শাহজান খান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একে অপরের সঙ্গে গল্প করতে থাকেন।

নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও করেন তারা। পরবর্তীতে বিচারক এজলাসে এলে তারা নিশ্চুপ হয়ে যান। এদিন আদালতের দিকে মুখ করে সারিবদ্ধ লাইনের প্রথমে আনিসুল হক ও শাজাহান খানকে কাঠগড়ার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে একদম পিছনের সারিতে দাড়িয়ে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

আদালতে পুরোটা সময় সালমান এফ রহমানকে চুপচাপ ও নিরিবিলি থাকলে দেখা যায়। এদিন তার পরনে সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি ও পায়ে দুই ফিতার বার্মিজ সেন্ডেল দেখা যায়। আদালত শেষে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলেও কোন উত্তর দেননি তিনি।

এদিন সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম। রিমান্ড শুনানিকালে কথা বলেন শাজাহান খান। তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিজ্ঞ পিপি সাহেব উনি বিএনপির বড় নেতা। ভুতুড়ে মামলায় বারবার আমাদের রিমান্ডে নিচ্ছেন কেন?’

এ সময় উত্তরে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তারা গণভবনে বসে নীতিনির্ধারণী বৈঠক করেছে। তিনি (শাজাহান খান) আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তারা সাধারণ আসামি নয়। তারা মিডিয়ায় এসে স্বীকার করেছেন, আন্দোলনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না, দমন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো এসব ঘটনায় কোনো মামলা করিনি। ভুক্তভোগীদের আত্মীয়রা করেছেন। রিমান্ডেও তো আমরা নেই না। আমাদের শুনানি করার কাজ। সেটা আমরা করি।’ এরপর শুনানি শেষে এ মামলায় শাজাহান খান, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।