ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলায় ‘উদ্বিগ্ন’ পাকিস্তান, জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমায় ইরানের প্রধান তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে এই হামলাকে ‘ধারাবাহিক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করে ইসলামাবাদ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে আঞ্চলিক অস্থিরতা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয় বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ানকে ফোন করে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”

এর আগে, ২১ জুন দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় একযোগে বাঙ্কার-ধ্বংসকারী বোমা দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় স্থাপনাগুলোর অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেনি ওয়াশিংটন বা তেহরান।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, এই মার্কিন হামলার আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি গোপন অভিযানে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকাকে নিশানা করে।

এ হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীও।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে,
“আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি অটুট। তবে এমন একতরফা সামরিক আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের পরমাণু সক্ষমতা সমূলে ধ্বংস করা হবে — হোয়াইট হাউস

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলায় ‘উদ্বিগ্ন’ পাকিস্তান, জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

আপডেট সময় ০৮:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমায় ইরানের প্রধান তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে এই হামলাকে ‘ধারাবাহিক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করে ইসলামাবাদ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে আঞ্চলিক অস্থিরতা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয় বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ানকে ফোন করে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”

এর আগে, ২১ জুন দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় একযোগে বাঙ্কার-ধ্বংসকারী বোমা দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় স্থাপনাগুলোর অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেনি ওয়াশিংটন বা তেহরান।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, এই মার্কিন হামলার আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি গোপন অভিযানে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক এলাকাকে নিশানা করে।

এ হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীও।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে,
“আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি অটুট। তবে এমন একতরফা সামরিক আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে।”