ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কাছ থেকে সরাসরি সহযোগিতা চেয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি সোমবার মস্কো সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে একটি বিশেষ চিঠি হস্তান্তর করেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তর ‘ক্রেমলিন’ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইরানের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পুতিনের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। একইদিনে রুশ বার্তাসংস্থা ‘তাস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বলেন,
“মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও ইরান তাদের অবস্থান আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছে।”
আরাগচি মস্কো পৌঁছানোর পর তার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেই বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর প্রথমবারের মতো ইরান প্রকাশ্যভাবে কোনো পরাশক্তির কাছে সামরিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা চাইল। দীর্ঘদিন ধরে আত্মনির্ভরশীল অবস্থানে থাকা ইরান এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত ইরান যখন যুক্তরাষ্ট্রকেও একযোগে ‘শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করছে, তখন রাশিয়ার মতো শক্তিশালী মিত্রের সরাসরি সমর্থন আদায়ে এ চিঠির গুরুত্ব অনেক বিশ্লেষকের নজর কেড়েছে।
সূত্র: তাস, ক্রেমলিন বিবৃতি