ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আমাকে গুলি করুন, কিন্তু আর কাউকে আঘাত করবেন না”—ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ৬১৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে হামলার ঘটনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,

“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আসিফ ভূঁইয়াকে বলব, প্রয়োজনে আমাকে ধরে নিয়ে বুকে গুলি চালায় দেন। কিন্তু আমার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আর একজনের বুকে ছুরি চালাবেন না।”

এর আগে বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হামলায় আহতদের দেখতে গিয়ে ইশরাক বলেন, “নগর ভবনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নাগরিক সেবা ব্যাহত করে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন চিরতরে বানচাল করে দেওয়া।”

তিনি হামলাকারীদের ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আন্দোলনকারীদের অনুরোধে যখন নাগরিক সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন থেকেই প্রতিপক্ষরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সব বাধা অতিক্রম করে যখন সেবা কার্যক্রম চালু হলো এবং নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরল, তখন তারা নতুন কৌশলে চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছে।”

ইশরাক আরও বলেন, “আজ আমার নামে স্লোগান দিয়ে ফ্যাসিস্টের উচ্ছিষ্ট সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসহ নগর ভবনে প্রবেশ করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে থাকা কর্মীদের ওপর।”

হামলার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছে—একদিকে আমার নাম ব্যবহার করে সেবার পরিবেশ নষ্ট করেছে, অন্যদিকে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ঝুলন্ত দেহ, পাশে গলাকাটা শিশু—ফরিদপুরে চাঞ্চল্য

“আমাকে গুলি করুন, কিন্তু আর কাউকে আঘাত করবেন না”—ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন

আপডেট সময় ০৯:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে হামলার ঘটনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,

“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আসিফ ভূঁইয়াকে বলব, প্রয়োজনে আমাকে ধরে নিয়ে বুকে গুলি চালায় দেন। কিন্তু আমার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আর একজনের বুকে ছুরি চালাবেন না।”

এর আগে বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হামলায় আহতদের দেখতে গিয়ে ইশরাক বলেন, “নগর ভবনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নাগরিক সেবা ব্যাহত করে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন চিরতরে বানচাল করে দেওয়া।”

তিনি হামলাকারীদের ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আন্দোলনকারীদের অনুরোধে যখন নাগরিক সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন থেকেই প্রতিপক্ষরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সব বাধা অতিক্রম করে যখন সেবা কার্যক্রম চালু হলো এবং নাগরিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরল, তখন তারা নতুন কৌশলে চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছে।”

ইশরাক আরও বলেন, “আজ আমার নামে স্লোগান দিয়ে ফ্যাসিস্টের উচ্ছিষ্ট সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসহ নগর ভবনে প্রবেশ করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে থাকা কর্মীদের ওপর।”

হামলার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছে—একদিকে আমার নাম ব্যবহার করে সেবার পরিবেশ নষ্ট করেছে, অন্যদিকে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।”