ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটের মতো বিচার-সংস্কারেও টাইমলাইন চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ

দেবীদ্বারের ইউছুফপুর আইডিয়াল স্কুল মাঠে আয়োজিত এক পরিচিতি সভায় ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি একযোগে ভোট ও সংস্কারের দাবি তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (২৮ জুন) বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় তিনি বলেন, “আপনারা যেভাবে টাইমলাইন করে ভোটের দাবি করছেন, সেভাবেই বিচার ও সংস্কারের দাবিও টাইমলাইনসহ তুলুন।”

তিনি বলেন, “আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কেউ পাথর ছুড়লেও আমি তার দিকে ফুল ছুড়ে বুকে টেনে নেব।” অতীতে তার পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না।”

প্রতিহিংসা ও সহিংসতার রাজনীতিকে বিদায় জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এই রাজনীতি কখনো দেশ ও জাতির উপকারে আসেনি।”

আন্দোলনের পটভূমিতে ফিরে গিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের আগেও আমরা দেখেছি— মাহফিলে হুজুরদের দাড়ি টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ শত কোটি টাকা খরচ করে যারা এমপি হয়েছেন, তারা রাজপথে কোনোদিন ছিল না। যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, তারা এমপি হতে চায়নি, চেয়েছিল দেশের কাঠামোগত সংস্কার।”

তিনি আরও বলেন, “এই যুবকেরা চেয়েছিল বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার। আর আমরা এখন সেই চেতনার ভিত্তিতেই গণতান্ত্রিক ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে হাঁটছি।”

হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে দেবীদ্বারের সঙ্গে নিজের শিকড়ের সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন: “আমি দেবীদ্বারে ভেসে আসিনি, দেবীদ্বারে আমার জন্ম।”

এনসিপির এ নেতা সবশেষে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠ গড়ার আহ্বান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

“হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড”—ঝিনাইদহে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে উত্তেজনা

ভোটের মতো বিচার-সংস্কারেও টাইমলাইন চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় ০৭:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

দেবীদ্বারের ইউছুফপুর আইডিয়াল স্কুল মাঠে আয়োজিত এক পরিচিতি সভায় ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি একযোগে ভোট ও সংস্কারের দাবি তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (২৮ জুন) বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় তিনি বলেন, “আপনারা যেভাবে টাইমলাইন করে ভোটের দাবি করছেন, সেভাবেই বিচার ও সংস্কারের দাবিও টাইমলাইনসহ তুলুন।”

তিনি বলেন, “আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কেউ পাথর ছুড়লেও আমি তার দিকে ফুল ছুড়ে বুকে টেনে নেব।” অতীতে তার পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না।”

প্রতিহিংসা ও সহিংসতার রাজনীতিকে বিদায় জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এই রাজনীতি কখনো দেশ ও জাতির উপকারে আসেনি।”

আন্দোলনের পটভূমিতে ফিরে গিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের আগেও আমরা দেখেছি— মাহফিলে হুজুরদের দাড়ি টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ শত কোটি টাকা খরচ করে যারা এমপি হয়েছেন, তারা রাজপথে কোনোদিন ছিল না। যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, তারা এমপি হতে চায়নি, চেয়েছিল দেশের কাঠামোগত সংস্কার।”

তিনি আরও বলেন, “এই যুবকেরা চেয়েছিল বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার। আর আমরা এখন সেই চেতনার ভিত্তিতেই গণতান্ত্রিক ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে হাঁটছি।”

হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে দেবীদ্বারের সঙ্গে নিজের শিকড়ের সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন: “আমি দেবীদ্বারে ভেসে আসিনি, দেবীদ্বারে আমার জন্ম।”

এনসিপির এ নেতা সবশেষে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠ গড়ার আহ্বান জানান।