ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা: টাকার অভাবে মর্গে পড়ে ছিলো লাশ, দায়িত্ব নিলেন ড. মাসুদ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ৫৫৫ বার পড়া হয়েছে

এবার আর্থিক অসচ্ছলতার কথা চিরকুটে লিখে আত্মহত্যা করেছেন এক কলেজ ছাত্র। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. কাওসার হোসেন (১৮)। তিনি মদনপুরা ইউনিয়নের মৃত শাহ আলম মৃধার ছেলে। বাউফল সরকারি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাজের সন্ধানে রাজধানীতে পাড়ি জমান তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করেও কাজ যোগাতে না পেরে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন কাওসার।

বাউফল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার (১৪ মে) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল—‘আমার একটাই দোষ, আমি গরীব। আমি কাউকে কোনো দোষ দিচ্ছি না, নিজের ইচ্ছায় জীবন ত্যাগ করলাম।’

দীর্ঘ সময় তার মরদেহ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পড়ে ছিলো। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিহতের মা বাউফলের বাড়িতে মরদেহ আনতে ব্যর্থ হয়। পরে বিষয়টা জানার পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও বাউফল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ নিহতের মরদেহ গ্রামে পৌঁছানোর এবং দাফনকাজের ব্যবস্থা করেন। কাওসারের মৃত্যুতে এলাকায় ও শিক্ষাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাউফল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বশার তালুকদার বলেন, নিহত কাওসার পড়াশোনায় ভালো ছিলো, আর্থিক অনটনে মানসিক চাপে ভুগছিলো। তার অকাল মৃত্যুতে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে শোকাহত। উল্লেখ্য, কাওসার হোসেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও এক ভাইসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা: টাকার অভাবে মর্গে পড়ে ছিলো লাশ, দায়িত্ব নিলেন ড. মাসুদ

আপডেট সময় ১০:০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

এবার আর্থিক অসচ্ছলতার কথা চিরকুটে লিখে আত্মহত্যা করেছেন এক কলেজ ছাত্র। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. কাওসার হোসেন (১৮)। তিনি মদনপুরা ইউনিয়নের মৃত শাহ আলম মৃধার ছেলে। বাউফল সরকারি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাজের সন্ধানে রাজধানীতে পাড়ি জমান তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করেও কাজ যোগাতে না পেরে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন কাওসার।

বাউফল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার (১৪ মে) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল—‘আমার একটাই দোষ, আমি গরীব। আমি কাউকে কোনো দোষ দিচ্ছি না, নিজের ইচ্ছায় জীবন ত্যাগ করলাম।’

দীর্ঘ সময় তার মরদেহ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পড়ে ছিলো। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিহতের মা বাউফলের বাড়িতে মরদেহ আনতে ব্যর্থ হয়। পরে বিষয়টা জানার পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও বাউফল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ নিহতের মরদেহ গ্রামে পৌঁছানোর এবং দাফনকাজের ব্যবস্থা করেন। কাওসারের মৃত্যুতে এলাকায় ও শিক্ষাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাউফল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বশার তালুকদার বলেন, নিহত কাওসার পড়াশোনায় ভালো ছিলো, আর্থিক অনটনে মানসিক চাপে ভুগছিলো। তার অকাল মৃত্যুতে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে শোকাহত। উল্লেখ্য, কাওসার হোসেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও এক ভাইসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।