ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে থুতু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা : অ্যাটর্নি জেনারেল

জুলাই গণহত্যার সময় গুলিবিদ্ধ, আহত ও পঙ্গু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানুষদের প্রতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণ ছিল ‘নিষ্ঠুর, অমানবিক ও প্রতিহিংসামূলক’—এমন অভিযোগ তুলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি শেখ হাসিনা তাদের ওপর ‘থুতু ছিটিয়েছিলেন’।

সোমবার (৩০ জুন) মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন,

“জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের অনেকেই পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা মিডিয়াকে বাইরে রেখে হাসপাতালে ঢুকে আহতদের গায়ে থুতু ছিটিয়েছেন। চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তারা সেবা না দেন।”

তিনি দাবি করেন, চিকিৎসাসেবা বন্ধের এই আদেশ ও আচরণের প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তার ও নার্সরা আজও জীবিত এবং তারা সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত। তাঁর মতে, এটি শুধু মানবতা ও চিকিৎসাসেবার ওপর আঘাত নয়, বরং সরাসরি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে করা হচ্ছে। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন কলঙ্কিত না হয়, সে বিষয়ে সরকার সচেতন এবং দায়বদ্ধ।

তিনি দেশের বিচারব্যবস্থার ‘ধ্বংসের মূলহোতা’ হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে দায়ী করেন। তাঁর ভাষায়,

“ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সেই রায় দিয়েই দিনের ভোট রাতে নেওয়ার সংস্কৃতির শুরু। আজ বিচার বিভাগের যে সংকট, তার বীজ বপন করা হয়েছিল তখনই।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ খাদেম উল কায়েস, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এনায়েত কবির সরকার, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গির হোসেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিতাসে গাঁজাসহ বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে থুতু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা : অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট সময় ১০:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

জুলাই গণহত্যার সময় গুলিবিদ্ধ, আহত ও পঙ্গু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানুষদের প্রতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আচরণ ছিল ‘নিষ্ঠুর, অমানবিক ও প্রতিহিংসামূলক’—এমন অভিযোগ তুলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি শেখ হাসিনা তাদের ওপর ‘থুতু ছিটিয়েছিলেন’।

সোমবার (৩০ জুন) মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন,

“জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের অনেকেই পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা মিডিয়াকে বাইরে রেখে হাসপাতালে ঢুকে আহতদের গায়ে থুতু ছিটিয়েছেন। চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তারা সেবা না দেন।”

তিনি দাবি করেন, চিকিৎসাসেবা বন্ধের এই আদেশ ও আচরণের প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তার ও নার্সরা আজও জীবিত এবং তারা সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত। তাঁর মতে, এটি শুধু মানবতা ও চিকিৎসাসেবার ওপর আঘাত নয়, বরং সরাসরি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে করা হচ্ছে। শহীদদের আত্মত্যাগ যেন কলঙ্কিত না হয়, সে বিষয়ে সরকার সচেতন এবং দায়বদ্ধ।

তিনি দেশের বিচারব্যবস্থার ‘ধ্বংসের মূলহোতা’ হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে দায়ী করেন। তাঁর ভাষায়,

“ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সেই রায় দিয়েই দিনের ভোট রাতে নেওয়ার সংস্কৃতির শুরু। আজ বিচার বিভাগের যে সংকট, তার বীজ বপন করা হয়েছিল তখনই।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ খাদেম উল কায়েস, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এনায়েত কবির সরকার, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গির হোসেন।