ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে বন্দি রেখে স্ত্রীর ওপর বর্বরতা, রাজনীতি থেকে বাদ শ্রমিক দল নেতা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে এবং এতে ভিকটিমের স্বামী নিজেই বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক বিবিসি বাংলাকে জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে শ্রমিক দল ও যুবদলের কর্মীরা রয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী পেশায় বাবুর্চি এবং ঢাকায় একটি হোটেলে কাজ করেন। তিনি জানান, তার দুই স্ত্রী। শনিবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ডাকে তিনি তজুমদ্দিনের একটি ইউনিয়নের বাড়িতে গেলে স্থানীয় শ্রমিক দল–যুবদলের কয়েকজন তাকে সেখানে আটকে রেখে টাকার জন্য রাতভর নির্যাতন করে। পরে তারা ফোন করে তার প্রথম স্ত্রীকে সেখানে ডেকে পাঠায়।

রবিবার সকালে প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার কাছে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে স্বামীকে পাইপ ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর দুপুরের দিকে স্বামীকে সরিয়ে দিয়ে তার প্রথম স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছিল এবং রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় একাধিক অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় ভোলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নন্দীগ্রামে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ

স্বামীকে বন্দি রেখে স্ত্রীর ওপর বর্বরতা, রাজনীতি থেকে বাদ শ্রমিক দল নেতা

আপডেট সময় ১০:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে এবং এতে ভিকটিমের স্বামী নিজেই বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক বিবিসি বাংলাকে জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে শ্রমিক দল ও যুবদলের কর্মীরা রয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী পেশায় বাবুর্চি এবং ঢাকায় একটি হোটেলে কাজ করেন। তিনি জানান, তার দুই স্ত্রী। শনিবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ডাকে তিনি তজুমদ্দিনের একটি ইউনিয়নের বাড়িতে গেলে স্থানীয় শ্রমিক দল–যুবদলের কয়েকজন তাকে সেখানে আটকে রেখে টাকার জন্য রাতভর নির্যাতন করে। পরে তারা ফোন করে তার প্রথম স্ত্রীকে সেখানে ডেকে পাঠায়।

রবিবার সকালে প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার কাছে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে স্বামীকে পাইপ ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। এরপর দুপুরের দিকে স্বামীকে সরিয়ে দিয়ে তার প্রথম স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছিল এবং রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় একাধিক অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় ভোলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।