ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সব কিছু জানতেন শেখ হাসিনা: খালেদা জিয়া

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

গত ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সে সময়কার একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপ করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট ড. কনক সারওয়ার।

সেই ভিডিওতে খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়, বিডিআরের ঘটনা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার এক মাস পরেই কেন ঘটল? হাসিনা সব কিছু জানতেন। তিনি সেদিন সেনানিবাসে ডিনারে কেন যাননি? এর আগেরবার আমি ছিলাম, হাসিনাও গিয়েছিলেন। এবার কেন হাসিনা গেলেন না? তার পরের দিন কেন এই ঘটনা ঘটল?

ওই সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার পাশেই বসা ছিলেন তারেক জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে হাসিনা এবং মইনুদ্দিন (তৎকালীন সেনাপ্রধান) সব জানতেন। তারা এর জন্য দায়ী, এটা মানা যায় না। কাজেই হাসিনাকে একদিন জবাব দিতেই হবে এটার জন্য। হ্যাঁ, আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমার ছেলেদের… তার পরও আমি বলব ৫৭ জন ভালো ভালো অফিসার কিভাবে মারা হয়েছে, তা চিন্তা করা যায় না।

তাদের পরিবারদের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছে, সেটা চোখে দেখা যায় না। ৫৭ জন অফিসারের কাউকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, কাউকে গার্বেজের ভেতর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ লোকটা খুব ভালো ছিলেন। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে গুলজার ধরেছিলেন।

তার জন্য রাগ ছিল মির্জা আজমের। কারণ তার বোনের জামাই ছিল শায়খ আবদুর রহমান। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দিন গুলজার সন্ধ্যা পর্যন্ত র‌্যাব, মইনুদ্দিনের কাছে সাহায্য চেয়ে বারবার ফোন করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আর্মি বসে আছে কিন্তু পারমিশন পাচ্ছে না। র‍্যাব ঢোকার পারমিশন পাচ্ছে না। পিলখানায় যদি তারা ঢুকতে পারত আমি মনে করি এ রকম হতো না। দু-একজন মরলেও মরতে পারত। বাকি সব অফিসারকে আমরা বাঁচাতে পারতাম। দেশের সম্পদ ছিল তারা। আজকে দেশকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আর্মিকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য অবশ্যই দায়ী শেখ হাসিনা।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করে তদন্ত থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এমন সব লোকজন দিয়ে তদন্ত করা হয়েছিল সেটাও করতে দেওয়া হয়নি। তারপর দলীয় লোক দিয়ে মানুষকে দেখানোর জন্য একটা তদন্ত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও মইনুদ্দিন সরাসরি জড়িত। তারা এদেরকে নিয়ে একসঙ্গে শেরাটন হোটেল থেকে খাবার এনে খেয়েছে। তাদের একজন ডিএডি ছিল তৌহিদ কোথায় ছিল, হাসিনার ওখানে ছিল না। নিজের পরিচয় দিয়ে গেছে হাসিনার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছে। তাকে বাহবা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। শুধু এই ঘটনা নয় হাসিনা অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িত এবং বর্তমানে যে জঙ্গি বলা হচ্ছে বিদেশিদেরকে ভয় দেখানোর জন্য। যে এই দেখো আমি ক্ষমতা থেকে গেলে এই দেশে জঙ্গিদের উত্থান হবে। প্রতিনিয়ত হাসিনা মিথ্যা কথা বলছে এবং মানুষের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে তাই আমরা বলতে চাই আল্লাহ আছেন আল্লাহ অবশ্যই দেখছেন আল্লাহ বিচার করবেন।’

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় হামাসবিরোধী গোত্রীয় নেতা ইয়াসির আবু শাবাবকে আত্মসমর্পণের আলটিমেটাম

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সব কিছু জানতেন শেখ হাসিনা: খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ১০:২৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

গত ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সে সময়কার একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপ করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট ড. কনক সারওয়ার।

সেই ভিডিওতে খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়, বিডিআরের ঘটনা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার এক মাস পরেই কেন ঘটল? হাসিনা সব কিছু জানতেন। তিনি সেদিন সেনানিবাসে ডিনারে কেন যাননি? এর আগেরবার আমি ছিলাম, হাসিনাও গিয়েছিলেন। এবার কেন হাসিনা গেলেন না? তার পরের দিন কেন এই ঘটনা ঘটল?

ওই সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার পাশেই বসা ছিলেন তারেক জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে হাসিনা এবং মইনুদ্দিন (তৎকালীন সেনাপ্রধান) সব জানতেন। তারা এর জন্য দায়ী, এটা মানা যায় না। কাজেই হাসিনাকে একদিন জবাব দিতেই হবে এটার জন্য। হ্যাঁ, আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমার ছেলেদের… তার পরও আমি বলব ৫৭ জন ভালো ভালো অফিসার কিভাবে মারা হয়েছে, তা চিন্তা করা যায় না।

তাদের পরিবারদের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছে, সেটা চোখে দেখা যায় না। ৫৭ জন অফিসারের কাউকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, কাউকে গার্বেজের ভেতর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদ লোকটা খুব ভালো ছিলেন। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে গুলজার ধরেছিলেন।

তার জন্য রাগ ছিল মির্জা আজমের। কারণ তার বোনের জামাই ছিল শায়খ আবদুর রহমান। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দিন গুলজার সন্ধ্যা পর্যন্ত র‌্যাব, মইনুদ্দিনের কাছে সাহায্য চেয়ে বারবার ফোন করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আর্মি বসে আছে কিন্তু পারমিশন পাচ্ছে না। র‍্যাব ঢোকার পারমিশন পাচ্ছে না। পিলখানায় যদি তারা ঢুকতে পারত আমি মনে করি এ রকম হতো না। দু-একজন মরলেও মরতে পারত। বাকি সব অফিসারকে আমরা বাঁচাতে পারতাম। দেশের সম্পদ ছিল তারা। আজকে দেশকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আর্মিকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য অবশ্যই দায়ী শেখ হাসিনা।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করে তদন্ত থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এমন সব লোকজন দিয়ে তদন্ত করা হয়েছিল সেটাও করতে দেওয়া হয়নি। তারপর দলীয় লোক দিয়ে মানুষকে দেখানোর জন্য একটা তদন্ত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও মইনুদ্দিন সরাসরি জড়িত। তারা এদেরকে নিয়ে একসঙ্গে শেরাটন হোটেল থেকে খাবার এনে খেয়েছে। তাদের একজন ডিএডি ছিল তৌহিদ কোথায় ছিল, হাসিনার ওখানে ছিল না। নিজের পরিচয় দিয়ে গেছে হাসিনার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছে। তাকে বাহবা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। শুধু এই ঘটনা নয় হাসিনা অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িত এবং বর্তমানে যে জঙ্গি বলা হচ্ছে বিদেশিদেরকে ভয় দেখানোর জন্য। যে এই দেখো আমি ক্ষমতা থেকে গেলে এই দেশে জঙ্গিদের উত্থান হবে। প্রতিনিয়ত হাসিনা মিথ্যা কথা বলছে এবং মানুষের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে তাই আমরা বলতে চাই আল্লাহ আছেন আল্লাহ অবশ্যই দেখছেন আল্লাহ বিচার করবেন।’