ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে গুলি রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ, গণপিটুনির শিকার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় গুলি রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে রুহুল আমিন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগকারী আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা আবদুল বাকীর মেয়ে অ্যাডভোকেট শাপলা খাতুন জানান, রুহুল আমিন আগে থেকেই পুলিশের তদন্তাধীন এক অপরাধে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত ছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাঁদের বাড়িতে এসে ৫০০ টাকা খরচ হিসেবে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ফের ওই বাড়িতে এসে অস্ত্র থাকার অভিযোগ তোলেন এবং বাকীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে পাশের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে একটি বাক্স খুলে শটগানের গুলি দেখান।

এরপর নিজের ব্যাগ থেকে আরও গুলি বের করে রুহুল আমিন বলেন, “এসব দিয়ে মামলা দেওয়া হবে।” একপর্যায়ে তিনি সবুজকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে থানায় নেওয়ার হুমকি দেন। ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে শাপলা খাতুন দ্রুত বাড়িতে পৌঁছান এবং প্রতিবেশীদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা রুহুল আমিনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অ্যাডভোকেট শাপলা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন। পরে পুলিশ ও যৌথবাহিনী এসে কনস্টেবল রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবল আগের একটি অভিযোগে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তদন্ত চলছে, এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

৪ জুলাইয়ের বৃষ্টিভেজা দিনে আরও তীব্র হলো কোটা সংস্কার আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের টানা কর্মসূচি ঘোষণা

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে গুলি রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ, গণপিটুনির শিকার

আপডেট সময় ১০:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় গুলি রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে রুহুল আমিন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগকারী আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা আবদুল বাকীর মেয়ে অ্যাডভোকেট শাপলা খাতুন জানান, রুহুল আমিন আগে থেকেই পুলিশের তদন্তাধীন এক অপরাধে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত ছিলেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাঁদের বাড়িতে এসে ৫০০ টাকা খরচ হিসেবে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ফের ওই বাড়িতে এসে অস্ত্র থাকার অভিযোগ তোলেন এবং বাকীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে পাশের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে একটি বাক্স খুলে শটগানের গুলি দেখান।

এরপর নিজের ব্যাগ থেকে আরও গুলি বের করে রুহুল আমিন বলেন, “এসব দিয়ে মামলা দেওয়া হবে।” একপর্যায়ে তিনি সবুজকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে থানায় নেওয়ার হুমকি দেন। ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে শাপলা খাতুন দ্রুত বাড়িতে পৌঁছান এবং প্রতিবেশীদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা রুহুল আমিনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অ্যাডভোকেট শাপলা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন। পরে পুলিশ ও যৌথবাহিনী এসে কনস্টেবল রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবল আগের একটি অভিযোগে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তদন্ত চলছে, এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।