ড্রোন প্রযুক্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে নতুন উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে ভারত। সামরিক ও বেসরকারি ড্রোন নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে দেশটি প্রায় ২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার (প্রায় ২ হাজার কোটি রুপি) সমপরিমাণ ইনসেনটিভ স্কিম চালু করতে যাচ্ছে। ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে তিন বছরের এই কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির নীতিনির্ধারক মহল।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে শুক্রবার (৪ জুলাই) বলা হয়, মূলত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে চার দিনের সীমান্ত সংঘাতে ড্রোনের ব্যবহারে হঠাৎ উত্তেজনা এবং প্রতিপক্ষের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দেখে ভারতের এই উদ্যোগ।
সরকারি দুই কর্মকর্তা ও একটি শিল্প সংস্থার সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, এই কর্মসূচির আওতায় ড্রোন, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং সহায়ক সেবা খাতে বিশাল অঙ্কের উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। এর লক্ষ্য হলো— ড্রোন আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো, দেশীয় শিল্পকে উৎসাহ দেওয়া এবং চীন ও তুরস্কের সহায়তায় গড়ে ওঠা পাকিস্তানের ড্রোন কর্মসূচিকে প্রতিহত করা।
ভারত ২০২১ সালে ১২০ কোটি রুপির প্রোডাকশন-সংশ্লিষ্ট ইনসেনটিভ (PLI) চালু করলেও সেই উদ্যোগ সীমিত হয়ে পড়ে মূলত পুঁজি ও গবেষণায় বিনিয়োগ সংকটের কারণে। এবারের বাজেট তার প্রায় ১৬ গুণ বড়, যা ভারতীয় ড্রোন শিল্পের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারকে স্পষ্ট করে।
ভারত এর আগে সামরিক ড্রোনের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে, সম্প্রতি কিছু ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্বল্পমূল্যে ড্রোন তৈরিতে অগ্রগতি দেখালেও সেন্সর, মোটর ও ইমেজিং প্রযুক্তিতে এখনো চীনের ওপর নির্ভর করতে হয়। এই নির্ভরতা কাটানোই নতুন কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য।
ভারত সরকারের আরেক পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে এই খাতে মোট ৪৭ কোটি ডলার পর্যন্ত ব্যয় করা হতে পারে, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হবে।