ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারজিস আলমের ‘বান্দরবান অবমাননা’র প্রতিবাদে এনসিপির কার্যক্রম অবাঞ্ছিত ঘোষণা ছাত্র সমাজের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০২:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪২ বার পড়া হয়েছে

রবিবার (২০ জুলাই) বান্দরবান প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র সমাজের ব্যানারে বান্দরবানের ছাত্র নেতারা জানিয়েছেন, বান্দরবানকে “শাস্তির জায়গা” বলাসহ পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি চরম অবমাননা করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা জানান, সারজিস আলম যতক্ষণ না ক্ষমা চান, ততক্ষণ বান্দরবানে তার উপস্থিতি এবং এনসিপির সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

ছাত্র নেতারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের জুলাই পদযাত্রা চলাকালে এক বক্তব্যে সারজিস আলম বান্দরবানকে “শাস্তি স্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা” হিসেবে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্যকে তারা চরম অবমাননাকর ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন।

বক্তারা আরও জানান, এই বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্থানীয় এনসিপি নেতারা। বলা হয়েছিল, ১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত জুলাই পদযাত্রায় সারজিস আলম জনসমক্ষে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না এবং দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতাও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। বরং প্রতিবাদ জানালে তারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, বান্দরবান কোনো বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নয়; এটি জাতিগত, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ জনপদ। এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও অধিকার সচেতন। এই জেলার মর্যাদাকে শাস্তির স্থান হিসেবে উল্লেখ করা মানেই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে অবমাননা করা।

ছাত্র নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, “সারজিস ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে এনসিপির সকল কার্যক্রম ও তার উপস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণ করা হলো। যেসব সরকারি কর্মকর্তা ‘শাস্তিস্বরূপ বদলি’ হিসেবে বান্দরবানে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জায়গা’ হিসেবে উপস্থাপন রোধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন, “বান্দরবানকে অবজ্ঞা করা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। অবমূল্যায়ন বা অবমাননা করা হলে আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবো।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি মাহির ইফতেখার, খালিদ বিন নজরুল, জুবায়ের ইসলাম, আসিফ ইসলামসহ অনেকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা দূতাবাসে এনসিপি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বিদায়ী সংবর্ধনা

সারজিস আলমের ‘বান্দরবান অবমাননা’র প্রতিবাদে এনসিপির কার্যক্রম অবাঞ্ছিত ঘোষণা ছাত্র সমাজের

আপডেট সময় ০২:০৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

রবিবার (২০ জুলাই) বান্দরবান প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র সমাজের ব্যানারে বান্দরবানের ছাত্র নেতারা জানিয়েছেন, বান্দরবানকে “শাস্তির জায়গা” বলাসহ পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি চরম অবমাননা করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা জানান, সারজিস আলম যতক্ষণ না ক্ষমা চান, ততক্ষণ বান্দরবানে তার উপস্থিতি এবং এনসিপির সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

ছাত্র নেতারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের জুলাই পদযাত্রা চলাকালে এক বক্তব্যে সারজিস আলম বান্দরবানকে “শাস্তি স্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা” হিসেবে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্যকে তারা চরম অবমাননাকর ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন।

বক্তারা আরও জানান, এই বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্থানীয় এনসিপি নেতারা। বলা হয়েছিল, ১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত জুলাই পদযাত্রায় সারজিস আলম জনসমক্ষে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না এবং দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতাও এ বিষয়ে কিছু বলেননি। বরং প্রতিবাদ জানালে তারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, বান্দরবান কোনো বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নয়; এটি জাতিগত, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ জনপদ। এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও অধিকার সচেতন। এই জেলার মর্যাদাকে শাস্তির স্থান হিসেবে উল্লেখ করা মানেই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে অবমাননা করা।

ছাত্র নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, “সারজিস ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে এনসিপির সকল কার্যক্রম ও তার উপস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণ করা হলো। যেসব সরকারি কর্মকর্তা ‘শাস্তিস্বরূপ বদলি’ হিসেবে বান্দরবানে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জায়গা’ হিসেবে উপস্থাপন রোধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন, “বান্দরবানকে অবজ্ঞা করা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। অবমূল্যায়ন বা অবমাননা করা হলে আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবো।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি মাহির ইফতেখার, খালিদ বিন নজরুল, জুবায়ের ইসলাম, আসিফ ইসলামসহ অনেকে।