শামীম রায়হান,দাউদকান্দি থেকে॥
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২৩ মামলার আসামি ও মাদককারবারী মামুন সম্রাট(২৮)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷
নিহত মামুন সম্রাট প্বার্শবর্তী তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে
মকবুল মেম্বারের ছেলে।নিহত মামুন সম্রাট গৌরীপুর ইউনিয়নের ভুলিরপাড় গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো৷
পুলিশ জানায়, শুক্রবার(২৫ জুলাই) মামুন সম্রাটসহ আরও ৩ নারী কক্সবাজার যেতে ঢাকা থেকে বাসে ওঠেন। রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড(মোড়ে) বাসটি থামার পর পানি কিনতে গাড়ি থেকে নিচে নামার পর পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত মাদককারবারী ও ২৩ মামলার আসামী মামুন সম্রাটকে মাথায় ও গলায় এলোপাতারী কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়৷ এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রাত ১২ টায় মামুন সম্রাটের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)জুনায়েত চৌধুরী৷
মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী জানান,মামুন সম্রাটকে কি কারনে হত্যা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷তার মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ তবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড৷ আশাকরি খুব দ্রুত এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারব আমরা৷
ওসি আরো জানান,নিহত মাদককারবারী মামুন সম্রাটের বিরুদ্ধে পূর্বেও হত্যা, ডাকাতি, মাদক ও অপহরণসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া সে গৌরীপুর বাজারে প্রকাশ্যে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও মদ বিক্রি করে এবং একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন বলে জানান তিনি৷
এদিকে স্থানীয়রা জানান, মামুন সম্রাট গৌরীপুর এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণসহ কিশোর গ্যাং পরিচালনা করতেন। এ ঘটনার জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য,এর আগে গত ১৩ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ভুলিরপাড় গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে মামুন সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি দল ও দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ৷এ সময় মামুন সম্রাটের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলে পরে সে জামিনে বের হয়ে আসে৷