সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ ‘সাদাপাথর’ এলাকা থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ক্র্যাশার মিল মালিকরা লুটের পাথরের ওপর বালু ও মাটি ফেলে আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল-লালবাগ, সালুটিকর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। অভিযানের খবর পেয়ে অধিকাংশ মিল বন্ধ হয়ে গেছে, সংশ্লিষ্ট অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। কোথাও পাথরের ওপর বালু-মাটির স্তূপ, আবার কোথাও দ্রুত ভেঙে ফেলা হচ্ছে লুট হওয়া সাদাপাথর।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ জানিয়েছেন, বালু-মাটি দিয়ে লুকানো পাথর উদ্ধার করা হবে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারও জানান, উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে এবং সব লুকানো পাথর উদ্ধার করা হবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই সাদাপাথরে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ভাইরাল হলে দুদক ও প্রশাসন সক্রিয় হয়। লাগামহীন লুটপাটে ধলাই নদের উৎসমুখে জমে থাকা বিপুল পাথর হারিয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনপ্রিয় এ পর্যটন এলাকা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট সাত দিনের মধ্যে লুট হওয়া সব পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ এ আদেশ দেন।