ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘জুলাই সনদ ২০২৫’ খসড়া প্রকাশ: প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমা, দলীয় পদাবন্ধ ও দুইকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ সংক্রান্ত সুপারিশ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৮১ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তৈরি করা ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খসড়ায় সুপারিশ করা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে কোনো ব্যক্তি একসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না এবং একজন ব্যক্তি সর্বাধিক ১০ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। এছাড়া সংসদকে দুই কক্ষ বিশিষ্ট করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

খসড়ায় সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য ও সংস্কারের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট ও শক্তির সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে সব দল সব বিষয়ে একমত হয়নি এবং কিছু সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।

সনদের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতি উল্লেখ করা হয়েছিল, তা দীর্ঘ ৫৩ বছরেও পূর্ণভাবে অর্জিত হয়নি। খসড়ার লক্ষ্য হলো ঐ নীতিগুলোকে প্রতিফলিত করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনে নতুন ভিত্তি স্থাপন করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

‘জুলাই সনদ ২০২৫’ খসড়া প্রকাশ: প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমা, দলীয় পদাবন্ধ ও দুইকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ সংক্রান্ত সুপারিশ

আপডেট সময় ১২:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তৈরি করা ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খসড়ায় সুপারিশ করা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে কোনো ব্যক্তি একসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না এবং একজন ব্যক্তি সর্বাধিক ১০ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। এছাড়া সংসদকে দুই কক্ষ বিশিষ্ট করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

খসড়ায় সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য ও সংস্কারের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট ও শক্তির সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে সব দল সব বিষয়ে একমত হয়নি এবং কিছু সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।

সনদের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতি উল্লেখ করা হয়েছিল, তা দীর্ঘ ৫৩ বছরেও পূর্ণভাবে অর্জিত হয়নি। খসড়ার লক্ষ্য হলো ঐ নীতিগুলোকে প্রতিফলিত করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনে নতুন ভিত্তি স্থাপন করা।