ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘিরে বিতর্কের কোনো সমাধান এলো না। সোমবার (২৫ আগস্ট) দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে মোদির শিক্ষাগত প্রমাণপত্র প্রকাশ করতে হবে না। একইভাবে ইরানির দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলও জনসমক্ষে আনতে হবে না।
বিচারপতি সচিন দত্ত জানান, শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যক্তিগত তথ্যের অন্তর্ভুক্ত। তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের আওতায় এসব নথি প্রকাশ বাধ্যতামূলক নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি নিয়ে গত ১১ বছর ধরে বিতর্ক চলছে। একাধিক মামলা হলেও এখনো স্পষ্ট হয়নি তিনি সত্যিই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন কি না। মোদির নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছিল, তিনি ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিরাগত ছাত্র হিসেবে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কিন্তু নথিপত্রের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, মোদি যে সময়ের কথা বলেছেন তখন বিশ্ববিদ্যালয় হাতে লেখা সনদ দিতো, অথচ তার প্রদর্শিত সনদটি ছাপানো এবং তাতে ব্যবহৃত ফন্ট তৈরি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। একইভাবে ‘এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স’ নামে কোনো বিষয় কখনোই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না।
অন্যদিকে, স্মৃতি ইরানির স্কুল পরীক্ষার ফল নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তার ফল প্রকাশের দাবি জানিয়ে আরটিআই আবেদন করা হলেও আদালত বলেছে, এটিও ব্যক্তিগত তথ্যের আওতাভুক্ত।
এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও মোদির ডিগ্রি প্রকাশের দাবি তুলেছিলেন। তবে গুজরাট হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের মামলা খারিজ করে দেন এবং তাকে জরিমানা দিতে হয়।
 
																			 
										 ডেস্ক রিপোর্টঃ
																ডেস্ক রিপোর্টঃ								 
























