ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল হকের পদত্যাগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:১৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে শুরু হয় রদবদল। প্রথম ধাপে গভর্নর, দুই ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও গভর্নরের নীতি উপদেষ্টাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তারা সবাই ছিলেন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা। এবারই প্রথম একজন নিয়মিত কর্মকর্তার পদত্যাগ ঘটল। মেজবাউল হক দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যেমন- পেমেন্ট সিস্টেম, আইটি এবং অফসাইট সুপারভিশনের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পান।তবে তার দায়িত্ব পালনের সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তার নাম উঠে আসে কিছু সংবাদমাধ্যমে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার পর তিনি বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের আইটি রুমে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন, যা তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলে তার প্রভাব ছিল বলেও অনেকে মনে করেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। তাকে ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি পদত্যাগ করেন।ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিন দশকের বেশি সময় পার করা মেজবাউল হক ১৯৯৩ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল হকের পদত্যাগ

আপডেট সময় ০৮:১৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে শুরু হয় রদবদল। প্রথম ধাপে গভর্নর, দুই ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও গভর্নরের নীতি উপদেষ্টাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তারা সবাই ছিলেন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা। এবারই প্রথম একজন নিয়মিত কর্মকর্তার পদত্যাগ ঘটল। মেজবাউল হক দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যেমন- পেমেন্ট সিস্টেম, আইটি এবং অফসাইট সুপারভিশনের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পান।তবে তার দায়িত্ব পালনের সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তার নাম উঠে আসে কিছু সংবাদমাধ্যমে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার পর তিনি বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের আইটি রুমে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন, যা তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলে তার প্রভাব ছিল বলেও অনেকে মনে করেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। তাকে ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি পদত্যাগ করেন।ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিন দশকের বেশি সময় পার করা মেজবাউল হক ১৯৯৩ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।