ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপূজায় ষড়যন্ত্র রুখতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

দুর্গাপূজায় কেউ যাতে ষড়যন্ত্র, নাশকতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীসহ জনসাধারণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমমনা দল ও আপামর জনগণকে সজাগ থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে।বিএনপির নেতাকর্মীদের সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করার জন্য আমি আহ্বান জানিয়ে  ফখরুল বলেন, একই সঙ্গে ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সমান স্বচ্ছন্দে, সমান উৎসাহে নিরাপত্তা সহকারে পূজার আনন্দ যাতে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে সেক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য’ বাংলাদেশের অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় ও বিএনপির সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান।হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার প্রাক্কালে হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি জাতিগোষ্ঠীর যেকোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব সব সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দময় শুভেচ্ছা বোধে উদ্দীপ্ত করে। বাংলাদেশেও যুগ যুগ ধরে মহিমান্বিত মর্যাদায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়ে আসছে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, কখনো কখনো স্বার্থান্বেষী মহল হীন স্বার্থে একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস ও ভরসার ভিত্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের মাধ্যমে একটি জাতির ভেতরে সাম্প্রদায়িক বিভাজন রেখা টেনে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে। অবিশ্বাস এবং আস্থার বিষাক্ত বীজ বপন করে অসৎ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে।বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন,  আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রেখে যেকোনো ধরনের হীন উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য বহন করে এসেছে। আমাদের সেই ঐতিহ্যকে দৃঢ় প্রত্যয়ে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই উৎসবে শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে। শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রতিপদ তিথি অনুযায়ী মহাষষ্ঠী ২৮ সেপ্টেম্বর, ২৯ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহানবমী এবং ১ অক্টোবর বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের ২ নেতা আটক

দুর্গাপূজায় ষড়যন্ত্র রুখতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান

আপডেট সময় ০৮:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুর্গাপূজায় কেউ যাতে ষড়যন্ত্র, নাশকতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীসহ জনসাধারণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমমনা দল ও আপামর জনগণকে সজাগ থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে।বিএনপির নেতাকর্মীদের সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করার জন্য আমি আহ্বান জানিয়ে  ফখরুল বলেন, একই সঙ্গে ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সমান স্বচ্ছন্দে, সমান উৎসাহে নিরাপত্তা সহকারে পূজার আনন্দ যাতে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে সেক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য’ বাংলাদেশের অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় ও বিএনপির সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান।হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার প্রাক্কালে হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি জাতিগোষ্ঠীর যেকোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব সব সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দময় শুভেচ্ছা বোধে উদ্দীপ্ত করে। বাংলাদেশেও যুগ যুগ ধরে মহিমান্বিত মর্যাদায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়ে আসছে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, কখনো কখনো স্বার্থান্বেষী মহল হীন স্বার্থে একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস ও ভরসার ভিত্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের মাধ্যমে একটি জাতির ভেতরে সাম্প্রদায়িক বিভাজন রেখা টেনে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে। অবিশ্বাস এবং আস্থার বিষাক্ত বীজ বপন করে অসৎ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে।বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন,  আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রেখে যেকোনো ধরনের হীন উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য বহন করে এসেছে। আমাদের সেই ঐতিহ্যকে দৃঢ় প্রত্যয়ে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই উৎসবে শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে। শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রতিপদ তিথি অনুযায়ী মহাষষ্ঠী ২৮ সেপ্টেম্বর, ২৯ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহানবমী এবং ১ অক্টোবর বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।