মিসরের রাজধানী কায়রোর ‘মিসরীয় জাদুঘর’ থেকে চুরি হয়েছে তিন হাজার বছরের পুরোনো এক প্রাচীন ব্রেসলেট। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বসম্পন্ন ল্যাপিস পাথরের তৈরি এই ব্রেসলেটটির মূল্য ছিল অমূল্য। কিন্তু তা মাত্র চার হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, জাদুঘরের এক কর্মী এই চুরির সঙ্গে জড়িত। এরই ম্যেধ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।জানা গেছে, চুরি যাওয়া ব্রেসলেটটি ছিল ২১তম রাজবংশের ফারাও আমেনেমোপের আমলের। কয়েক সপ্তাহ পর এটি ইতালিতে একটি প্রদর্শনীতে পাঠানোর কথা ছিল। এর আগেই, গত শনিবার জাদুঘরের সংরক্ষণাগার থেকে ব্রেসলেটটির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর জাদুঘরের ওই কর্মী ব্রেসলেটটি চুরি করেন। কায়রোর এক রুপা ব্যবসায়ীর সহায়তায় এটি প্রথমে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার মিসরীয় পাউন্ডে। পরে সেটি আবারও এক স্বর্ণকারের কাছে ১ লাখ ৯৪ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করা হয়। শেষপর্যন্ত ব্রেসলেটটি গলিয়ে ফেলা হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র এর প্রাচীনতা নয়, ব্রেসলেটটির বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও ছিল অনেক। মিসরবিদ জিন গুলিয়াম ওলেট পেলেটিয়ার জানান, ব্রেসলেটটি রাজা সুসেনের সমাধিতে খননের সময় উদ্ধার করা হয়েছিল।মিসরের প্রচলিত আইনে, প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ চুরির শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া ১ থেকে ৫০ লাখ মিসরীয় পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। আর প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ নষ্ট বা গলিয়ে ফেলার মতো অপরাধের জন্য সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।এর আগে ১৯৭৭ সালে কায়রোর আরেকটি জাদুঘর থেকে বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘পপি ফ্লাওয়ার্স’ চুরি হয়েছিল। যার আনুমানিক মূল্য ছিল ৫৫ মিলিয়ন ডলার। সেই চিত্রকর্ম আজও উদ্ধার হয়নি।
ফেরাউনের ব্রেসলেট মাত্র ৪ হাজার ডলারে বিক্রি, চোর গ্রেপ্তার
-
ডেস্ক রিপোর্টঃ
- আপডেট সময় ০৮:১২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- ৫২৩ বার পড়া হয়েছে
জনপ্রিয় সংবাদ