অ্যাস্টোরিয়ার ছোট অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেসি ম্যানশনের পথে
আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন জোহরান মামদানি। ৩৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে হয়েছেন সিটির প্রথম মুসলিম, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ও প্রথম ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট মেয়র। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করবেন।
রাজনীতি শুরু করেছিলেন একেবারে শূন্য থেকে। বর্তমানে স্ত্রী রমা দুওয়াজিকে নিয়ে তিনি বসবাস করছেন অ্যাস্টোরিয়ার ৮০০ বর্গফুটের এককক্ষবিশিষ্ট ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে। সম্প্রতি ‘দ্য নিউ ইয়র্কার রেডিও আওয়ার’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মামদানি জানিয়েছেন, তার অ্যাপার্টমেন্টে সিংক ছিদ্র হয়ে পানি পড়া থেকে শুরু করে গরম পানির ঝামেলা পর্যন্ত নানান সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমনকি এক সকালে তোয়ালে পরে ঘরের মেঝেতে সময় কাটাতে হয়েছে তাকে।
১৯২৯ সালে নির্মিত সেই ভবনের সাধারণ লন্ড্রি রুম ও একমাত্র লিফটই তার দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল। এখন সেই সাধারণ অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে যেতে পারেন তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনে—২২৬ বছরের পুরনো এক প্রাসাদ, যেখানে রয়েছে ঝলমলে ঝাড়বাতি, মেহগনি কাঠের দরজা, বিশাল সবুজ লন এবং সবজির বাগান।
তবে মামদানি এখনো সিদ্ধান্ত নেননি, তিনি আসলেই গ্রেসি ম্যানশনে উঠবেন কি না। “কোথায় থাকব, সেটা এখনো ঠিক করিনি,” বলেন তিনি।
গ্রেসি ম্যানশনকে নিউ ইয়র্ক টাইমস একসময় বর্ণনা করেছিল “লেমন কালারের কেকের মতো প্রাসাদ” হিসেবে—যেখান থেকে দেখা যায় ইস্ট রিভারের মনোরম দৃশ্য। নিরাপত্তার জন্য প্রাসাদটি ঘেরা উঁচু দেয়াল, সিসিটিভি ও পুলিশ পাহারায়। আর তাই নিউ ইয়র্কের অধিকাংশ মেয়রই শেষ পর্যন্ত এই বাসভবনকেই বেছে নিয়েছেন।
অ্যাস্টোরিয়ার সাধারণ জীবন থেকে গ্রেসি ম্যানশনের রাজকীয় পরিবেশে—এ যেন জোহরান মামদানির জীবনের এক ঐতিহাসিক রূপান্তর, যা প্রতীক এক নতুন নিউ ইয়র্কের।
























