চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই নয় মাসে ১১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সময়ে ১৯ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চীনের ৩০ সদস্যসহ মোট ৩৯ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। এ সময় বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে আরও আড়াই হাজার আসামি।
মঙ্গলবার সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ আমার দেশকে এসব তথ্য জানান।
লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সিএমপির ১৬টি থানায় মোট ৯৪৮টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে ৭৯৩টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এখনও ১৫৫টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
অস্ত্র উদ্ধার
নয় মাসে গ্রেপ্তার ১১২ অস্ত্রধারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে—
- ২০টি বিদেশি পিস্তল
- ২টি রিভলভার
- ১১টি এলজি
- ১টি বোর শটগান
- চাপাতি–রামদা–ছোরা–কুড়ালসহ বিপুল দেশীয় অস্ত্র
- ১৪৯ রাউন্ড গুলি, ১৯টি ম্যাগজিন, ৩৮ রাউন্ড কার্তুজ
ডাকাতি ও কুকি-চীন অভিযান
- খুলশী, কর্ণফুলি ও বাকলিয়া থানায় ২২ ডাকাত গ্রেপ্তার।
- বায়েজিদ ও আকবরশাহ এলাকায় কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ২০ সদস্য গ্রেপ্তার, কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজারের বেশি ইউনিফর্ম উদ্ধার।
রাজনৈতিক মিছিল ও মামলা
নগরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০টি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। এসব থেকে ১০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ থানার পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহিংসতায় ১৬ থানায় ৬৩টি মামলা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় ১,২১3 জনকে।
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে আটক
ছোট সাজ্জাদ, আইয়ুব আলী, শাকিল, ইমাম হোসেন, বকলেস মাসুম, এবিএম মোস্তফা কামালসহ ১৯ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, উদ্ধার ৩টি দেশীয় অস্ত্র।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রেপ্তার
- রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী
- আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার ৫৮ সন্দিগ্ধ আসামি
চিন্ময়ের বিরুদ্ধে রয়েছে ৭টি মামলা।
মাদক উদ্ধার
গত নয় মাসে উদ্ধার—
- ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮ পিস ইয়াবা (মূল্য ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা)
- ৩২০ কেজি গাঁজা
- ১৭১ বোতল ফেনসিডিল
- ৪,৪৬০ লিটার চোলাইমদ
- ২২৮ বোতল বিদেশি মদ
- ১১৬ বোতল বিয়ার
মোট মূল্য ৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।
কমিশনারের বক্তব্য
কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন,
“আমরা ভয় দেখাতে নয়, প্রতিরোধ করতে চাই। নিরীহ মানুষের দিকে কখনো গুলি চালানো হবে না। নাগরিকদের সহযোগিতাই পুলিশের শক্তি।”

























