ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে এইডসের ঝুঁকিতে আড়াই হাজার যৌনকর্মী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে মারণব্যাধি এইডস সংক্রমণের তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার নারী যৌনকর্মী। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে—গত পাঁচ বছরে এখানকার চারজন নারী যৌনকর্মী ও দুইজন পুরুষসহ মোট ছয়জনের দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, পল্লির ভেতরে এইডস ছড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব আচরণগত ঝুঁকি স্পষ্টভাবে বিদ্যমান। ফলে যৌনকর্মীদের পাশাপাশি প্রতিদিন আসা হাজারো পুরুষ খদ্দেরও সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পায়াকট বাংলাদেশ যৌথভাবে দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে এসটিআই, এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হওয়ায় পাঁচ মাস ধরে সব প্রতিরোধ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলী জানান, শনাক্ত হওয়া ছয়জন রোগীর মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় পাঁচজনের দেহে এইডস পজিটিভ ধরা পড়ে। বাকি একজনকে শনাক্ত করে পায়াকট বাংলাদেশ। শনাক্ত রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিজ নিজ বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পায়াকট বাংলাদেশের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ রাজীব বলেন, প্রকল্প চলাকালে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষায় ৪০ বছর বয়সী এক নারী যৌনকর্মীর দেহে এইডস ধরা পড়ে। তাকে আলাদা রেখে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলেও প্রকল্প শেষ হওয়ায় এখন এসব কার্যক্রম বন্ধ।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শরীফ ইসলাম সতর্ক করে বলেন, দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির সব নারী যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দের বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন। এইডস প্রতিরোধে সবাইকে দ্রুত সচেতন হতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পুনরায় চালুর উদ্যোগ প্রয়োজন।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে এইডসের ঝুঁকিতে আড়াই হাজার যৌনকর্মী

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে মারণব্যাধি এইডস সংক্রমণের তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার নারী যৌনকর্মী। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে—গত পাঁচ বছরে এখানকার চারজন নারী যৌনকর্মী ও দুইজন পুরুষসহ মোট ছয়জনের দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, পল্লির ভেতরে এইডস ছড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব আচরণগত ঝুঁকি স্পষ্টভাবে বিদ্যমান। ফলে যৌনকর্মীদের পাশাপাশি প্রতিদিন আসা হাজারো পুরুষ খদ্দেরও সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পায়াকট বাংলাদেশ যৌথভাবে দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে এসটিআই, এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হওয়ায় পাঁচ মাস ধরে সব প্রতিরোধ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলী জানান, শনাক্ত হওয়া ছয়জন রোগীর মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় পাঁচজনের দেহে এইডস পজিটিভ ধরা পড়ে। বাকি একজনকে শনাক্ত করে পায়াকট বাংলাদেশ। শনাক্ত রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিজ নিজ বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পায়াকট বাংলাদেশের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ রাজীব বলেন, প্রকল্প চলাকালে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষায় ৪০ বছর বয়সী এক নারী যৌনকর্মীর দেহে এইডস ধরা পড়ে। তাকে আলাদা রেখে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলেও প্রকল্প শেষ হওয়ায় এখন এসব কার্যক্রম বন্ধ।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শরীফ ইসলাম সতর্ক করে বলেন, দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির সব নারী যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দের বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন। এইডস প্রতিরোধে সবাইকে দ্রুত সচেতন হতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পুনরায় চালুর উদ্যোগ প্রয়োজন।