ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপসহীন সংগ্রামের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:২০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রতীক ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক আপসহীন নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। দেশমাতৃকার স্বার্থে আপস না করার দৃঢ়তা, গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান এবং বারবার কারাবরণ তাকে জনমানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ‘আপসহীন নেত্রী’ উপাধি এনে দিয়েছে।

১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিপর্যস্ত বিএনপিকে পুনর্গঠনের কঠিন সময়েই রাজনীতিতে আসেন খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েই তিনি দ্রুতই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন হন তিনি। ১৯৯৩, ২০০৯ ও ২০১৬ সালেও পুনরায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়ে দলের নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় রাখেন।

এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জনআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে তিনি ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে উত্থান ঘটান। সমঝোতার পথ এড়িয়ে তিনি জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যান, যা এরশাদ পতনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার এবং ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সার্কের চেয়ারপারসন হিসেবে দু’বার দায়িত্ব পালনসহ নির্বাচনী ইতিহাসে পাঁচটি জাতীয় নির্বাচনে ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতে বিজয়ী হওয়ার অনন্য রেকর্ড তার।

ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ কারাবাসেও দেশ ত্যাগে চাপ অমান্য করে তিনি অবস্থান নেন জনগণের পাশে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানা মামলায় হয়রানি, ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, সাত বছরের কারাবন্দি জীবন—কোনো কিছুই তাকে আপস করাতে পারেনি।

১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৭ সালের এরশাদবিরোধী আন্দোলনে, ওয়ান ইলেভেনের সময় এবং গত দেড় দশকের রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় খালেদা জিয়ার আপসহীন অবস্থান তাকে দেশের রাজনীতিতে অন্যতম সংগ্রামী নেত্রীতে পরিণত করেছে।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে দৃঢ়তা, সাহস এবং আপসহীনতা তাকে আজ পরিণত করেছে—
বাংলাদেশের রাজনীতিতে হার না মানা সংগ্রামের এক অম্লান প্রতীকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে হাদির মরদেহ দেখতে গেলেন জামায়াত আমির

আপসহীন সংগ্রামের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ১১:২০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রতীক ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক আপসহীন নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। দেশমাতৃকার স্বার্থে আপস না করার দৃঢ়তা, গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান এবং বারবার কারাবরণ তাকে জনমানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ‘আপসহীন নেত্রী’ উপাধি এনে দিয়েছে।

১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিপর্যস্ত বিএনপিকে পুনর্গঠনের কঠিন সময়েই রাজনীতিতে আসেন খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েই তিনি দ্রুতই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন হন তিনি। ১৯৯৩, ২০০৯ ও ২০১৬ সালেও পুনরায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়ে দলের নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় রাখেন।

এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জনআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে তিনি ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে উত্থান ঘটান। সমঝোতার পথ এড়িয়ে তিনি জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যান, যা এরশাদ পতনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার এবং ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সার্কের চেয়ারপারসন হিসেবে দু’বার দায়িত্ব পালনসহ নির্বাচনী ইতিহাসে পাঁচটি জাতীয় নির্বাচনে ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবগুলোতে বিজয়ী হওয়ার অনন্য রেকর্ড তার।

ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ কারাবাসেও দেশ ত্যাগে চাপ অমান্য করে তিনি অবস্থান নেন জনগণের পাশে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানা মামলায় হয়রানি, ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, সাত বছরের কারাবন্দি জীবন—কোনো কিছুই তাকে আপস করাতে পারেনি।

১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৭ সালের এরশাদবিরোধী আন্দোলনে, ওয়ান ইলেভেনের সময় এবং গত দেড় দশকের রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় খালেদা জিয়ার আপসহীন অবস্থান তাকে দেশের রাজনীতিতে অন্যতম সংগ্রামী নেত্রীতে পরিণত করেছে।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে দৃঢ়তা, সাহস এবং আপসহীনতা তাকে আজ পরিণত করেছে—
বাংলাদেশের রাজনীতিতে হার না মানা সংগ্রামের এক অম্লান প্রতীকে।