ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধানের শীষে ভোট চেয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

 

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার পর বক্তৃতার শেষ দিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন লক্ষীকুন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।
গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চররূপপুর এলাকায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বিএনপির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, ‌“আগামীতে ধানের শীষকে নির্বাচিত করলে আরও উন্নয়ন হবে। আপনারা দোয়া করবেন, বেগম খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।” বক্তব্য শেষে তিনি হঠাৎ ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করে মাইক্রোফোন অন্যের হাতে তুলে দেন। এতে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মুখ টিপে হাসেন এবং পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

একজন শিক্ষক সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভোট চাওয়া এবং আওয়ামী লীগের স্লোগান দেওয়া নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয় ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম আড়াল করতে আগের সরকার আমলে শিক্ষকটি আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভায় অংশ নিতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমি রাজনীতি করি না। ভুলবশত ‘জয় বাংলা’ বলে ফেলেছি। বিষয়টি আমার ঠিক হয়নি—আমি দুঃখিত।”

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন জানান, এটি দলীয় আয়োজন ছিল না এবং শিক্ষক তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করায় সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া উচিত নয় এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ঈশ্বরদী ইউএনও মো. মনিরুজ্জামানও একই মন্তব্য করে জানান, সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার রাজনৈতিক সমাবেশে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

দোয়া মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ। শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলাম।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাবরি মসজিদ তহবিল: হুমায়ুনের বাড়িতে ১১ ট্রাঙ্ক ভর্তি টাকা, অনলাইনে ৯৩ লাখ

ধানের শীষে ভোট চেয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট সময় ১১:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার পর বক্তৃতার শেষ দিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন লক্ষীকুন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।
গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চররূপপুর এলাকায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বিএনপির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, ‌“আগামীতে ধানের শীষকে নির্বাচিত করলে আরও উন্নয়ন হবে। আপনারা দোয়া করবেন, বেগম খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।” বক্তব্য শেষে তিনি হঠাৎ ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করে মাইক্রোফোন অন্যের হাতে তুলে দেন। এতে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মুখ টিপে হাসেন এবং পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

একজন শিক্ষক সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভোট চাওয়া এবং আওয়ামী লীগের স্লোগান দেওয়া নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয় ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম আড়াল করতে আগের সরকার আমলে শিক্ষকটি আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভায় অংশ নিতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমি রাজনীতি করি না। ভুলবশত ‘জয় বাংলা’ বলে ফেলেছি। বিষয়টি আমার ঠিক হয়নি—আমি দুঃখিত।”

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন জানান, এটি দলীয় আয়োজন ছিল না এবং শিক্ষক তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করায় সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া উচিত নয় এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ঈশ্বরদী ইউএনও মো. মনিরুজ্জামানও একই মন্তব্য করে জানান, সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার রাজনৈতিক সমাবেশে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

দোয়া মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ। শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলাম।