কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত ইউনুস মেম্বার হত্যা মামলায় আটক হ্নীলা ইউপি সদস্য রেজাউল করিম (৩৬) পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি হ্নীলা দরগাহপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ইউপি সদস্য ছিলেন।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুন নূর জানান, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের ইউনিয়ন হাসপাতাল থেকে আলোচিত ইউনুস মেম্বারকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি হিসেবে র্যাব রেজাউল করিমকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওই সময় তিনি শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা ও বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ইউনিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তিনি মারা যান।
ওসি জানান, রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক, অস্ত্রসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর টেকনাফের দক্ষিণ ফুলের ডেইলে স্থানীয় ইয়াবা কারবারী আলমের বাড়িতে খাবারের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে ইউনুস মেম্বারকে হত্যা করে। পরদিন ৫ নভেম্বর সকালে স্থানীয় সড়কের একটি ব্রিজের নিচে ইউনুস মেম্বারের লাশ পাওয়া যায়। পরে ৬ নভেম্বর তার স্ত্রী বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রেজাউল করিম ওই মামলারই আসামী ছিলেন।
এদিকে স্থানীয়দের বক্তব্য ও গণমাধ্যমের তথ্য সূত্রে জনাযায়, ইউনুস মেম্বার মূলত ইয়াবার লেনদেনের কারণে হত্যা শিকার হয়।





















