জুলাই বিপ্লবের অগ্রণী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, হামলার সঙ্গে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট জড়িত থাকতে পারে।
ঘটনার তদন্তে পুলিশ ও র্যাব মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ফয়সাল করিম মাসুদ নামে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ঘটনার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সন্দেহভাজনদের দেশে পালানো রোধ করতে সব বিমানবন্দর ও সীমান্তে কঠোর নজরদারি জারি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দল ও গোষ্ঠীর ওপর ভয় ধরাতে হামলাটি সংগঠিত হয়েছে। হামলার উদ্দেশ্য ছিল কিছুটা সফল হলেও, এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটার জন্য সারাদেশে রেকি ও তল্লাশি চালানো হবে।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, সিসিটিভিতে মোটরসাইকেলের পেছনে বসে গুলি করা ব্যক্তির চেহারা ফয়সালের সঙ্গে মিলছে। পুলিশের মতে, ফয়সালের বিরুদ্ধে পূর্বেও গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, পালিয়ে থাকা সম্রাটের বিরুদ্ধেও অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, হাদির ওপর হামলার মাধ্যমে ভোট প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করার পরিকল্পনা ছিল।
এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা দায়ের হয়নি, তবে মামলার প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে চলছে।


























