গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান সরকারের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে চরম সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৬ মাসে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং নানাভাবে তাদের সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, সরকার বারবার সংস্কারের কথা বললেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। তারা এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যেখানে সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার হবে এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। কিন্তু আমেরিকা বা ইউরোপের মতো আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো নমুনাই জনগণ দেখতে পায়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের দূর্বৃত্তরা আবারও গুপ্তহত্যার পথে নেমেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করলেও বাস্তবে তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করা। কিন্তু ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ‘ডামি নির্বাচন’ এর মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনাকেই নস্যাৎ করেছে।
তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে প্রায় ৫০ জন প্রার্থীকে হত্যার মিশন নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে তা শুরু করেছে। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও বিপ্লবী যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি চালানো হলেও এখন পর্যন্ত জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এসময় গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।


























