ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজ খরচে বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের পছন্দের খাবার খাওয়ালেন ডিসি, দিলেন শীতের উপহার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

 

বৃদ্ধাশ্রমে থাকা ২৫ জন মাকে নিয়ে সরকারি বাংলোতে অন্যরকম বিজয় দিবস উদযাপন করলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইকবাল হোসেন।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সরকারি ডাকবাংলোয় মায়েদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদেরকে নিয়ে একসঙ্গে নানা পদের খাবার খান তিনি। পরে তাদের প্রত্যেকের গায়ে পরিয়ে দেন শীতের চাদর।

এসময় জেলা প্রশাসকের এমন আতিথিয়তা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বৃদ্ধাশ্রমে থাকা এসব মায়েরা। তবে সরকারি কোষাগারের টাকায় নয়, নিজের বেতনের টাকা দিয়েই বৃদ্ধাশ্রমে থাকা এসব মায়েদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন।

ডিসি কার্যালয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় সার্কিট হাউজের সামনে উদয় মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের খোঁজ পান কুষ্টিয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন। খবর পেয়ে দুদিন আগে ছুটে যান ওই বৃদ্ধাশ্রমে। তিনি বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র নিজ চোখে দেখেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় মায়েদের কেউ কেউ গরু ও খাসির মাংস এবং মুরগির রোস্ট খেতে চান। আবার কেউ আবদার করেন বড় সাইজের ইলিশ মাছ খাবেন বলে। এসময় মায়েদের ইচ্ছে পূরণের উদ্যোগ নেন ডিসি।

মঙ্গলবার দুপুরে একান্তই ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের সরকারি ডাকবাংলোয় বৃদ্ধ মায়েদের নিয়ে এসে জড়ো করেন জেলা প্রশাসক। তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী গরু ও খাসির মাংস, বড় সাইজের ইলিশ মাছ, মুরগির রোস্ট, দইসহ যে যেটা খেতে চেয়েছিলেন সেটাই খাওয়ানো হয়।

 

উদয় মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী ছারভানু। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুরের লক্ষ্মীপুর এলাকা এসেছেন।

 

ছারভানু বলেন, ‌‘আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে, স্বামী—কেউ বেঁচে নেই। এলাকার লোক এসে এই বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে গেছে। আজ ডিসি স্যার আমাদের তৃপ্তি সহকারে খাইয়েছেন। তার জন্য দোয়া করি।’

 

উদয় মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইফতিখার হোসেন মিঠু বলেন, ‘ডিসি স্যার কম্বল দিতে এসে বৃদ্ধাশ্রমের এসব মায়েদের দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি এসব মায়েদের কী কী খাওয়ার ইচ্ছা জানতে চান। তাদের ইচ্ছামতো ডিসি স্যার তার ডাকবাংলোই ডেকে নিয়ে তৃপ্তি ভরে খাওয়ান।’

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রস্তুত তারেক রহমানের বাসভবন ও অফিস

নিজ খরচে বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের পছন্দের খাবার খাওয়ালেন ডিসি, দিলেন শীতের উপহার

আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 

বৃদ্ধাশ্রমে থাকা ২৫ জন মাকে নিয়ে সরকারি বাংলোতে অন্যরকম বিজয় দিবস উদযাপন করলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইকবাল হোসেন।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সরকারি ডাকবাংলোয় মায়েদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদেরকে নিয়ে একসঙ্গে নানা পদের খাবার খান তিনি। পরে তাদের প্রত্যেকের গায়ে পরিয়ে দেন শীতের চাদর।

এসময় জেলা প্রশাসকের এমন আতিথিয়তা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বৃদ্ধাশ্রমে থাকা এসব মায়েরা। তবে সরকারি কোষাগারের টাকায় নয়, নিজের বেতনের টাকা দিয়েই বৃদ্ধাশ্রমে থাকা এসব মায়েদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন।

ডিসি কার্যালয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় সার্কিট হাউজের সামনে উদয় মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের খোঁজ পান কুষ্টিয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন। খবর পেয়ে দুদিন আগে ছুটে যান ওই বৃদ্ধাশ্রমে। তিনি বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র নিজ চোখে দেখেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় মায়েদের কেউ কেউ গরু ও খাসির মাংস এবং মুরগির রোস্ট খেতে চান। আবার কেউ আবদার করেন বড় সাইজের ইলিশ মাছ খাবেন বলে। এসময় মায়েদের ইচ্ছে পূরণের উদ্যোগ নেন ডিসি।

মঙ্গলবার দুপুরে একান্তই ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের সরকারি ডাকবাংলোয় বৃদ্ধ মায়েদের নিয়ে এসে জড়ো করেন জেলা প্রশাসক। তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী গরু ও খাসির মাংস, বড় সাইজের ইলিশ মাছ, মুরগির রোস্ট, দইসহ যে যেটা খেতে চেয়েছিলেন সেটাই খাওয়ানো হয়।

 

উদয় মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী ছারভানু। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুরের লক্ষ্মীপুর এলাকা এসেছেন।

 

ছারভানু বলেন, ‌‘আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে, স্বামী—কেউ বেঁচে নেই। এলাকার লোক এসে এই বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে গেছে। আজ ডিসি স্যার আমাদের তৃপ্তি সহকারে খাইয়েছেন। তার জন্য দোয়া করি।’

 

উদয় মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইফতিখার হোসেন মিঠু বলেন, ‘ডিসি স্যার কম্বল দিতে এসে বৃদ্ধাশ্রমের এসব মায়েদের দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি এসব মায়েদের কী কী খাওয়ার ইচ্ছা জানতে চান। তাদের ইচ্ছামতো ডিসি স্যার তার ডাকবাংলোই ডেকে নিয়ে তৃপ্তি ভরে খাওয়ান।’